This Article is From Jan 17, 2020

নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি নয়, স্মৃতি ইরানির আক্রমণের জবাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল

স্মৃতি ইরানির আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এই ইস্যু নিয়ে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়।

Nirbhaya Case: স্মৃতি ইরানির আক্রমণের পাল্টা জবাব অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • নির্ভয়া মামলা নিয়ে আপ সরকারকে আক্রমণ স্মৃতি ইরানির
  • পাল্টা জবাব দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
  • ফাঁসির নতুন তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি
নয়াদিল্লি:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) শুক্রবার অভিযোগ করেন, দিল্লির আপ সরকারের জন্যই গত বছরের জুলাইয়ে রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করা সত্ত্বেও নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) চার অপরাধীকে এখনও ফাঁসিতে ঝোলানো সম্ভব হয়নি। তাঁর অভিযোগের উত্তর দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে স্মৃতি বলেন, ‘‘জুলাই মাসে রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়া সত্ত্বেও আপ সরকারের অধীনস্থ বন্দি বিভাগ কি ঘুমোচ্ছিল? কেন তারা মুক্তিপ্রাপ্ত নাবালক ধর্ষককে ১০,০০০ টাকা ও সেলাই মেশিন দিয়েছিল? তারা কি নির্ভয়ার মায়ের চোখের জল দেখতে পায়নি? আমি আম আদমি পার্টিকে বলতে চাই, রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পরেও আপনাদের জন্যই অপরাধীদের সময়ে ফাঁসিতে ঝোলানো সম্ভব হয়নি। এই ধরনের দলের লজ্জা হওয়া উচিত। এটা কেবল আমার দলের বক্তব্য নয়। এই দেশের প্রতিটি আইন সচেতন নাগরিকের বক্তব্য।''

Nirbhaya case: ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬ টায় ফাঁসি নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ আসামির

স্মৃতি ইরানির আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এই ইস্যু নিয়ে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়।

তিনি টুইট করে জানান, ‘‘এই ধরনের বিষয় নিয়ে রাজনীতি হলে দুঃখ হয়। আমরা কি সবাই মিলে চেষ্টা করে দোষীদের দ্রুত শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি না? আমাদের কি হাতে হাত মিলিয়ে এমন ব্যবস্থা করতে পারি না, যাতে এই ধরনের পশুদের ছ'মাসের মধ্যে ঝোলানো যায়? দয়া করে এই নিয়ে রাজনীতি করবেন না। সবাই মিলে আসুন আমাদের মহিলাদের জন্য একটা নিরাপদ শহর গড়ে তুলি।''

ধরা পড়ল প্যারোলে ছাড়া পেয়ে পলাতক মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী ‘ড. বম্ব'

প্রসঙ্গত, নির্ভয়া মামলার চার অপরাধী মুকেশ সিংহ, অক্ষয়কুমার সিংহ, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মাকে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়ার কথা ছিল। গত সপ্তাহেই তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

কিন্তু মঙ্গলবার হাইকোর্টকে দিল্লি সরকার জানায়, যেহেতু মুকেশ কুমার রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, তাই তাদের ফাঁসি স্থগিত করা হোক। নিয়মানুযায়ী, আর্জি খারিজ হওয়ার পর ফাঁসি কার্যকর করতে ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই তিহার জেল আদালতের কাছে ফাঁসির নতুন তারিখ চায়।

অবশেষে শুক্রবার মুকেশ সিংহর প্রাণভিক্ষার আর্জি রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দেওয়ার পর নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া হবে। 

.