This Article is From Aug 12, 2019

শ্রীনগর, দক্ষিণ কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন অজিত দোভাল

কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায়, পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং এবং আর্মি কম্যান্ডার আলাদা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন বলে জানান আধিকারিকরা।

শ্রীনগর, দক্ষিণ কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন অজিত দোভাল

সোমবার, শ্রীনগরে পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল (ফাইল ছবি)

শ্রীনগর:

সোমবার, দক্ষিণ কাশ্মীর এবং শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল(Ajit Doval)। ৩৭০ ধারা (Article 370) প্রত্যাহারের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি সোমবার দেশজুড়ে পালিত হয় ঈদ-উদ-আধা, সেই উপলক্ষ্যেই এদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা(Ajit Doval)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই মত আধিকারিকদের, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিতেই ঈদের প্রার্থনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগরে, জঙ্গি এবং ক্ষতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি করে জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় মজসিদে ঈদের প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ব্যাপক জমায়েত হয়।

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলেই পুলিশকে খবর দেওয়ার পরামর্শ

জম্মুতে ঈদের প্রার্থনার জন্য ঈদগাহে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ৫,০০ মানুষ, প্রদেশেও একইভাবে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় কয়েকটি বিক্ষোভ হয়েছে।

প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অতীতে, এটা জম্মু কাশ্মীরে অজানা নয়। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ছোটোখাটো পাথর ছোঁড়ার ঘটনা রয়েছে। তবে পুলিশ স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এবং বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। ১, ২ জন ছাড়া সেভাবে কেউ আহত হননি”।

আবার কার্ফু জারি শ্রীনগরে, সবাইকে বাড়ি ঢুকে যেতে নির্দেশ পুলিশের

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যাচাই করতে জনসাধারণকে সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গত জম্মু ও কাশ্মীরে গত সপ্তাহে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় শনিবার।

প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “রাজ্যের অন্যান্য জায়গায়, জম্মুর পাঁচটি জেলা থেকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এবং জম্মর পাঁচটি জেলায় শুধুমাত্র রাতে নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। কাশ্মীরের অন্যান্য ৯টি জেলায় পরিস্থিতি যাচাই করে একইভাবে স্থানীয় ছাড় দেওয়া হয়েছে”।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং কড়াকড়ি করা জন সাধারণের শান্তির কথা ভেবে এবং পরিস্থিতি যাচাই করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে এটি একটি স্থানীয় ব্যাপার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে, যোগাযোগ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে।

অশান্তি বাড়ছে কাশ্মীরে! রাহুলের দাবি উড়িয়ে পুলিশ জানাল পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ

প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যের বাইরে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযগের সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং শিশুরা, জেলা কমিশনারের অফিস, থানা এবং ফাঁড়িতে এর জন্য হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ কল করা হচ্ছে। শ্রীনগরে এখদিনে প্রায় ৫,০০০ ফোন করা হয়েছে”।

প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কাশ্মীর অঞ্চলে প্রায় ৩০০-এর বেশী ফোন বুথ পয়েন্ট খোলা হয়েছে এবং সেগুলি কাজ করছে। রাজ্য সরকারের তৈরি করা মিডিয়া সেন্টার থেকে কাজ করতে পারছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সরকারের একজন পদস্থ আধিকারিক প্রতিদিন সকাল ১১ টা এবং সন্ধ্যে ৬টায় পরিস্থিত সম্পর্কে জানাচ্ছেন। মিডিয়া সেন্টার থেকে ফোন এবং ইন্টারনেটের সুবিধা পাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.