This Article is From Oct 15, 2019

মুর্শিদাবাদের শিক্ষক হত্যার পিছনে আর্থিক বিবাদ, গ্রেফতার অভিযুক্ত: পুলিশ

Murshidabad Triple Murder: গত মঙ্গলবার নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল (৩০) ও তাঁদের ছ’বছরের ছেলে আর্যকে।

মুর্শিদাবাদের শিক্ষক হত্যার পিছনে আর্থিক বিবাদ, গ্রেফতার অভিযুক্ত: পুলিশ

Murshidabad Triple Murder: এই খুনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংযোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কলকাতা:

মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক স্কুল শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছ'বছরের ছেলেকে তাঁদের বাড়িতে খুন (Murshidabad Triple Murder) করার ঘটনার এক সপ্তাহ পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করল। সেই সঙ্গে জানিয়েও দিল, এই খুনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংযোগ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, টাকাপয়সা সংক্রান্ত সমস্যাই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ। এই খুন নিয়ে বিজেপির দাবি, নিহত ৩৫ বছরের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল আরএসএসের সদস্য ছিলেন। এরপর থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে রাজন‌ৈতিক রং লাগে। পরে দেখা যায়, তিনি কেবল একবার আরএসএসের সভায় গিয়েছিলেন। তাঁর কোনও রাজনৈতিক সংযোগ ছিল না।

এই হত্যাকাম্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বহেরাকে। সাগরডিহির বাসিন্দা উৎপল। ওখানেই বন্ধুপ্রকাশ ছোটবেলা কাটিয়েছিলেন। এবং ওখানকারই এক স্কুলে তিনি পড়াতেন। উৎপল পেশায় একজন নির্মাণ কর্মী।

পূর্ব মেদিনীপুরে খুন তৃণমূল নেতা; "বিজেপির ষড়যন্ত্র", বললেন ছেলে

গত মঙ্গলবার জিয়াগঞ্জে বিজয়া দশমীর পরের দিন নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল (৩০) ও তাঁদের ছ'বছরের ছেলে আর্যকে। ১৮ মাস আগে তাঁরা এই এলাকায় থাকতে শুরু করেন।

উৎপল বহেরা ছিলেন বন্ধুপ্রকাশের ব্যবসার সহযোগী। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সে বন্ধুপ্রকাশকে দু'টি জীবন বিমা পলিসির জন্য টাকা দিয়েছিল।

“ভিন্ন অবস্থান, মানেই প্রতিদ্বন্দ্বী নয়”, বললেন রাজ্যপাল

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘যদিও বন্ধুপ্রকাশ পাল প্রথম পলিসির জন্য টাকার রসিদ দিয়েছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় পলিসির কোনও রসিদ তিনি দেননি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। বন্ধুপ্রকাশ উৎপলকে অপমান করেছিলেন। এরপরই উৎপল পরিকল্পনা করে সে বন্ধুপ্রকাশকে খুন করবে।''

গত সপ্তাহে রক্তে ভেসে যাওয়া ওই তিনজনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বহু বিজেপি নেতা ও সমর্থক ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেন। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও এই নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘কার্পেটের তলায় কিছু লুকিয়ে রাখা যাবে না।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই নিয়ে নীরবতাতেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে পাল পরিবারের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছিল, এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সংযোগ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, বিজেপি সরকারকে অপদস্থ করতে এই ভাবে খুন নিয়ে রাজনীতি করছে।

২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই দলই পরস্পরের প্রতি রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরির অভিযোগ এনেছে।

দেখুন ভিডিও

.