This Article is From Jul 22, 2019

মুম্বইয়ের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকার্যে নামানো হল ‘রোবোফায়ার’

ওই বহুতলের চতুর্থ ও পঞ্চম তল চলে যায় আগুনের গ্রাসে, শতাধিক লোকের আটকে থাকার আশঙ্কা

মুম্বইয়ের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকার্যে নামানো হল ‘রোবোফায়ার’

মুম্বইয়ের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকার্যে নামানো হল ‘রোবোফায়ার’

সোমবার বান্দ্রায় ফের এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (Mumbai Fire)। আগুনের গ্রাসে চলে যায় মুম্বইয়ের (Mumbai) অন্যতম ব্যস্ত এই অঞ্চলের এমটিএনএল-এর ওই বহুতল। এরপরেই ওই আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে অত্যাধুনিক উদ্ধারকাজে নামানো হল রোবট। মনে করা হচ্ছে, ওই বহুতলের চতুর্থ ও পঞ্চম তলে এখনও আটকে রয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন। তবে ওই অগ্নিকাণ্ডের (MTNL Building fire) খবর পেয়েই ওই বহুতলে উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে অত্যাধুনিক উদ্ধারকারী রোবট “রোবোফায়ার” (RoboFire), ওই রোবটের সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভাতে কাজ করছে দমকলের ১৪ টি ইঞ্জিনও। জানা গেছে, অত্যাধুনিক ওই রোবোফায়ারকে পুরোপুরি রিমোটের দ্বারা একজন পরিচালনা করতে পারে। ওই রোবোটটির গায়ে একটি ক্যামেরা ও ক্যাটারপিলার ট্রাক লাগানো আছে যাতে নিয়ন্ত্রণকারী তার মাধ্যমে আগুনের মধ্যেকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে উদ্ধারকাজ চালাতে পারেন।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড মুম্বইয়ে, বহুতলের ছাদে জমায়েত আতঙ্কিত মানুষের

rcb5k0k8

আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের কাজ চলছে। ন'তলা বহুতলটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। জানা গেছে, এসভি রোডের উপরে অবস্থিত ওই বাড়িটি। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। NDTV-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঠিক আগে পোড়া তারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দমকল কর্মীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে আটক মানুষদের উদ্ধার করছেন। অনেককেই ছ'তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছাদে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ।

মুম্বইয়ের বহুতলে আগুন লেগে পাঁচ প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু

উদ্ধারকার্য চলছে। অগ্নি আধিকারিকরা ক্রেনের সাহায্যে বহুতলটির উপরের তলায় আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করে আন‌ছে। এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে।

সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। ওই বহুতলের খুব কাছেই অবস্থিত দমকল কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই একথা জানিয়েছে।

কাজের দিন হওয়ায় বহু মানুষ, বিশেষ করে এমটিএনএল-এর কর্মীরা বহুতলের ভিতরে ছিলেন।

গত এক দশকে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে ৪৯,০০০ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষের। মহারাষ্ট্র সরকারের গত বছরের একটি রিপোর্টেই সামনে এসেছে ওই তথ্য।

.