This Article is From Aug 20, 2019

জেটলিকে দেখতে এইমসে আদবানি, মুক্তার আব্বাস নাকভিরা

গত ৯ই আগস্ট শ্বাসকষ্ট ও শারীরির অস্থিরতা নিয়ে এইমসে ভর্তি হন ৬৬ বছরের অরুণ জেটলি ।

জেটলিকে দেখতে এইমসে আদবানি, মুক্তার আব্বাস নাকভিরা

চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেটলি

নয়াদিল্লি:
সঙ্কটজনক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির (Arun Jaitley) শারীরিক অবস্থা। এখনও এইমসে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে অরুণ জেটলিকে দেখতে দিল্লির ওই হাসপাতালে যাচ্ছেন বিজেপি সহ বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীরা। দল ও মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সহকর্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সোমবার এইমসে যান প্রবীণ লালকৃষ্ণ আডবানি (LK Advani)। এছাড়াও গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি ও বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অরুণ সিংও এদিন দলের আইজীবী নেতাকে এইমসে দেখে আসেন। গত ৯ই আগস্ট শ্বাসকষ্ট ও শারীরির অস্থিরতা নিয়ে রাজধানীর প্রথম সারির হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৬ বছরের অরুণ জেটলি (Arun Jaitley)। জানা গিয়েছে, এক্সট্রা করপোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন এবং ইন্ট্রা-অর্টিক বেলুন পাম্পের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।
এইমস কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করেছেন। তবে, হাসপাতালের তরফে ১০ই আগস্টের পর থেকে কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়নি।
চলতি বছরের মে মাসেও রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অরুণ জেটলি। গত শুক্রবার, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, "এইমসের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে সুস্থ করে তুলতে।" রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও গত  শুক্রবার জেটলির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এইমসে গিয়েছিলেন।
গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি, জিতেন্দ্র সিং , রাম বিলাস পাসওয়ান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের অভিষেক সিংভি এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত হাসপাতালে গিয়েছিলেন জেটলির স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর করতে। দেখা করেন প্রাক্তন মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
অসুস্থতার কারণে এবার লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি গেরুয়া শিবিরের এই বর্ষীয়াণ নেতা। নানা সময়ে জেটলির (Arun Jaitley) অনুপস্থিতিতে অর্থ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন মন্ত্রী পিয়ূশ গোয়েল।

.