This Article is From Nov 05, 2018

সাইকেলে বাঁধা স্বপ্ন, 176 দিন জুড়ে হিমালয় ছুঁয়ে আন্দিজের স্বপ্নে বিভোর জ্যোতিষ্ক

এবার স্বপ্নে দক্ষিণ আমেরিকা। বলিভিয়া থেকে আর্জেন্টিনা আন্দিজ পাহাড়ের 10 হাজার কিলোমিটারের সফর করার স্বপ্ন নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন জ্যোতিষ্ক

সাইকেলে বাঁধা স্বপ্ন, 176 দিন জুড়ে হিমালয় ছুঁয়ে আন্দিজের স্বপ্নে বিভোর জ্যোতিষ্ক
কলকাতা:

বয়স- 22

ঠিকানা- করিমপুর নদিয়া।

ভালোবাসা- পাহাড়

অস্ত্র- বিশ্বাস আর জেদ

বাহন- দু'চাকার সাইকেল

এইটুকুই সম্বল। স্বপ্নকে আঁকড়েই 176 দিন ধরে পাহাড় মেখেছেন নদিয়ার এই যুবক। জ্যোতিষ্ক বিশ্বাস। সাইকেলে করে পশ্চিম থেকে পূর্বে ট্রান্স হিমালয় সফর শেষ করে সবে মাত্র ঘরে ফিরেছেন জ্যোতিষ্ক। একা একাই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন 13 মে। শুরু কলকাতা থেকে। মে মাসের চাঁদি ফাটা গরম উপেক্ষা করে সাইকেল চালিয়ে পৌছছেন বারাণসী, সেখান থেকে লক্ষ্ণৌ, দিল্লি হয়ে গুলমার্গ। মোট 11 টা মাউন্টেন পাস পেরিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন জ্যোতিষ্ক। গুলমার্গ থেকে নুবরা ভ্যালি। সেখান থেকে সাইকেলে করেই সবচেয়ে উত্তরের থ্যাং, ভারতের শেষ গ্রামে পৌঁছান জ্যোতিষ্ক। তারপর মানালি থেকে রোহতাং পাস পেরিয়ে স্পিতি ভ্যালিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ গ্রাম কিব্বের, হিকিম হিমাচলে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ পোস্ট অফিস সবই অতিক্রম করেন এই দু'চাকার ভরসাতেই। তারপর শিমলা পার করে এই বাংলার উত্তরের পথ ধরে উত্তরপূর্বের আসাম। অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে গিয়ে যাত্রা শেষ হয় জ্যোতিষ্কের।

r2ipt8jg

বাইকে অনেকেই পাহাড়ে সফর করেন। সে পথ কষ্টকর হলেও তুলনামূলক আরামের। তাবলে সাইকেল? জ্যোতিষ্ক বলেন, “সাইকেল পরিবেশ বান্ধব। সাইকেল চালাতে ভালোও লাগে। পাহাড়কে সবাই বলি ভালোবাসি। কিন্তু যখন যাই ঘুরতে আমরাই দূষণ করি। সেই বার্তা নিয়েই সাইকেল করেই এগিয়েছি।”

jl52k49g

পাহাড়েই কেটেছে জ্যোতিষ্কের শৈশব। অরুণাচলপ্রদেশ, উত্তরবঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর পরে নদিয়ায় বাবার চাকরি সূত্রে ফিরে আসা। “ছোট থেকেই মা'কে দেখতাম গাছ লাগাতে, বন্ধু বেশি ছিল না। পাহাড়ই ভালোবাসা, প্রকৃতিই বন্ধু। এই পরিকল্পনা মাথায় আসে দু'বছর আগে। অনেকেই বলেছিল পারবি না। তাতেই জেদ চেপে যায়। পারব কিনা দেখতে গতবছর সাইকেল নিয়ে মেঘালয় চলে যাই। দেখলাম বেশ তো পারি। বেড়িয়ে পড়লেই হয়।” বলেন তিনি। 

176 দিন, 7891 কিলোমিটার পথে জ্যোতিষ্কের সঙ্গে মাঝে মাঝেই জুড়ে গিয়েছে অন্য বন্ধু, পরিচয় হয়েছে দেশি বিদেশি নানা জনের সাথে। এক একটা পরিচয় কয়েকশো অভিজ্ঞতা। মাঝে শরীর অসুস্থ হয়েছে অনেক, খারাপ অভিজ্ঞতাও কম না। তবে, পাহাড় আসলে একটা ডাক। সে ডাক যে শুনতে পেয়েছে তাঁর আর সাড়া না দিয়ে উপায় কই! ছবি তুলে বহু কষ্টে পয়সা জমিয়ে, সত্যরূপ সিদ্ধান্তের অ্যাবেটোর খানিক সাহায্য পেয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন সিদ্ধান্ত, ফিরেও এসেছেন। তবে, ফের এমনই স্বপ্ন সফরের নকশা সাজিয়ে ফেলেছেন তিনি।

এবার স্বপ্নে দক্ষিণ আমেরিকা। বলিভিয়া থেকে আর্জেন্টিনা আন্দিজ পাহাড়ের 10 হাজার কিলোমিটারের সফর করার স্বপ্ন নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন জ্যোতিষ্ক। কারণ পাহাড়ের হাতছানি বড় অমোঘ, যে সাড়া দিয়েছে তাঁর ইচ্ছা লাগাম মানতে শেখে না। জ্যোতিষ্কের অপেক্ষা শুধু পর্যাপ্ত স্পনসরশিপের।

4bohd6a8
.