This Article is From Nov 02, 2018

"মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলাম", ফের ধর্ষণের অভিযোগ এম জে আকবরের বিরুদ্ধে

ফের যৌন হেনস্তার ভয়াবহ অভিযোগ উঠল সাংবাদিক তথা রাজনীতিবিদ এম জে আকবরের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়।

মানহানির মামলা করেছেন এম জে আকবর।

হাইলাইটস

  • প্রাক্তন সহকর্মী পল্লবী গগোই ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন আকবরের বিরুদ্ধে
  • তিনি জানান, তাঁকে জয়পুরের হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছিল
  • অভিযোগ মিথ্যে বলে নস্যাৎ করে দিয়েছেন আকবর।
নিউ দিল্লি:

ফের যৌন হেনস্তার ভয়াবহ অভিযোগ উঠল সাংবাদিক তথা রাজনীতিবিদ এম জে আকবরের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরে যেতে হয়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ তুললেন, তিনি আমেরিকা-নিবাসী এক মহিলা সাংবাদিক। দু'দশক আগে আকবরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। যদিও এম জে আকবরের আইনজীবী এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওর পল্লবী গগৈয়ের নাম উঠে এসেছে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। পল্লবী গগৈ লিখিতভাবে জানিয়েছেন, দু'দশক আগে এম জে আকবর যখন এশিয়ান এজের সম্পাদক ছিলেন, তখন তিনি বাইশ বছর বয়সে সবে যোগ দিয়েছিলেন ওই সংবাদপত্রে। তিনি বলেছেন, আকবরের ব্যবহার, ভাষার ব্যবহার, কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার এবং মুখের কথা দিয়ে অপমান করা- সবকিছুকেই তিনি শিক্ষণীয় হিসেবেই গ্রহণ করেছিলেন। যাঁর ফলস্বরূপ তিনি অচিরেই একটি পাতার সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি ভাবতেই পারেননি, সেই উত্তরণই তাঁর জীবনে একটি 'কালো ছায়া' নামিয়ে আনবে।

#MeToo সরছেন না এমজে আকবর, হুমকি দিলেন আইনি ব্যবস্থারঃ 10টি পয়েন্ট

ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি ওঁকে আমার সম্পাদিত পাতাটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি সবটা দেখে আমার খুব প্রশংসা করলেন। তারপরই আচমকা আমাকে চুমু খেতে এগিয়ে আসেন তিনি। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। স্থাণু হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম কয়েক মুহূর্ত। তারপরই লজ্জা, ঘৃণা এবং একরাশ ভীতি নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসি। আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলাম ভিতরে ভিতরে"। 

# Me too 31 অক্টোবর এম জে-র বয়ান নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিল আদালত, দশটি তথ্য

এর পরের ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েকদিন বাদে। একটি নতুন ম্যাগাজিনের উদ্বোধনের সময়। "সেদিনও মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে তিনি আমাকে ডাকেন তাঁর নিজের বিলাসবহুল ঘরে পাতার লে-আউট দেখার জন্য। ওইদিনও আমাকে চুমু খেতে আসেন তিনি৷ আমি বাধা দিই। ঠেলে সরিয়ে দিই তাঁকে। তিনি আমার মুখে আঁচড়ে দেন৷ আমি দৌড়ে পালিয়ে আসি অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে"। বলেন তিনি। 

এর পরেও একটি ঘটনা ঘটে জয়পুরের হোটেলে। "...আমি ওঁর সঙ্গে একটা যুদ্ধ করে চলেছিলাম ঠিকই। কিন্তু, উনি শারীরিকভাবে এবং ক্ষমতার দিক দিয়েও আমার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিলেন"।

তিনি এই ঘটনার কথা নিজের বন্ধু, সহকর্মী সকলকেই জানিয়েছিলেন।  "আমি শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে এবং আবেগের দিক থেকেও সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। এই লেখাটা লিখছি, যে যে মহিলা তাঁদের সত্যিটা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের জন্য। আমি এই কথাগুলো লিখছি আমার এখনও আঠারো না হওয়া পুত্র ও কন্যার জন্য। যাতে তারা অন্তত এটুকু বুঝতে পারে, দোষ না থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি তাদের দোষী বানানোর চেষ্টা করতে থাকে ক্রমাগত, তাহলে কীভাবে লড়াই করা উচিত। কীভাবেই বা লড়াই করে ফিরে আসা উচিত। যাতে ওই লোকগুলো বুঝতে পারে, কাউকে বিনা কারণে বা নিজের স্বার্থের জন্য দোষী বানালে আখেরে কোনও লাভ হয় না শেষমেশ",  নিজের চিঠিটি এভাবেই শেষ করেন পল্লবী গগৈ।

.