This Article is From Apr 27, 2020

"মুসলিম তোষণ মন্তব্য প্রত্যাহার করুন", রাজ্যপালকে অনুরোধ ইমাম সংগঠনের

সম্প্রতি নবান্ন ও রাজভবন সংঘাত চরমে উঠেছিল। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি চালচালি ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি

সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রতি এই অনুরোধ করল ইমাম সংগঠন।(ফাইল ছবি)

কলকাতা:

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি করা 'মুসলিম তোষণ' মন্তব্য আপনি প্রত্যাহার করুন। সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রতি এই অনুরোধ করল ইমাম সংগঠন। বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন বা বিআইএ (Bengal Imam Council), রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, "একটি অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেষ্টা করছে গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তুলতে। লকডাউন বিধি ভঙ্গকারী হিসেবে মুসলিম সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। যা একদম অসত্য।" সম্প্রতি নবান্ন ও রাজভবন সংঘাত চরমে উঠেছিল। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) চিঠি চালচালি ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। ২৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একটা চিঠিতে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, "আপনি বেহায়ার মতো মুসলিম তোষণ করেন। আপনি নিজামুদ্দিন মার্কাজ প্রসঙ্গে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি। উলটে বলেছিলেন আমাকে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না।" 

লকডাউন নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা বলছে কেন্দ্র, স্বচ্ছতা নেই: মুখ্যমন্ত্রী

এই চিঠির বিরোধিতা করে রাজ ভবনে চিঠি পাঠিয়েছে ইমামদের ওই সংগঠন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "নিজামুদ্দিন মার্কাজের ঘটনা দিল্লি পুলিশ আর কেন্দ্রের আওতাধীন।" ২৪ এপ্রিল রাজ্যপালের এক্তিয়ার মনে করিয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবারই ৫ পৃষ্ঠার একটি দীর্ঘ চিঠি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিরই পাল্টা জবাব দেন রাজ্যপাল। "সাংবিধানিকভাবে আপনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আপনাকে জানাতে চাই, সংবিধানকে আপনারা অবজ্ঞা করছেন", রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে এই জবাব দিতে দেখা গেল জগদীপ ধনখড়কে। ৬৮ বছরের ধনখড় করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে যে কতটা ব্যর্থ রাজ্য সরকার, সেই কথাও তুলে ধরেন তাঁর চিঠিতে। "ক্রোধ থেকেই আপনার এমন কথা বলা। সংবিধানের মধ্যে থেকেই যা করার করব আমি। চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েও কাজ করব, যেমন শপথ নিয়েছি, তেমনভাবেই কাজ করব", আরও একবার মমতা সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল।

মাস্ক না পরার অভিযোগ, চেনে বেঁধে রাখা হল সিআরপিএফ কম্যান্ডোকে

মুখ্যমন্ত্রীর পাঠান চিঠিতে লেখা ছিল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একজন ‘মনোনীত' ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাংবিধানিক আচরণ করে একজন ‘নির্বাচিত' প্রতিনিধিকে অপমান করেছেন। এইভাবেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। তিনি রাজ্যপালকে একটি পাঁচ পাতার চিঠি লিখেছিলেন। গত বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। গত ক'দিন ধরে সেই সংঘাত অন্য চেহারা নিয়েছে। সম্প্রতি তিনি টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল রাজ্যে লকডাউনের নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলে যেন তাদের কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রাজ্যপাল তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছেন এবং সাংবিধানিক ধর্ম ও শালীনতার স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.