This Article is From May 04, 2020

মদের দোকানের সামনে লাইন কালীঘাটে, সরাতে মৃদু লাঠিচার্জ পুলিশের

লাইনে থাকা সকলের মুখেই মাস্ক দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্বের কোনও চিহ্ন ছিল না। পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়তে গিয়ে কারও কারও পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হয়।

মদের দোকানের সামনে লাইন কালীঘাটে, সরাতে মৃদু লাঠিচার্জ পুলিশের

ভিড় সরাতে শেষ পর্যন্ত মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। (প্রতীকী)

রাজ্যে সোমবার থেকে মদের দোকান (Liquor Shops) খোলার কথা জান‌া গিয়েছিল। সেইমতো মদের দোকানের সামনে এক ভিড়ও লক্ষ করা গিয়েছিল কালীঘাট (Kalighat) এলাকায়। ভিড় সরাতে শেষ পর্যন্ত মৃদু লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে। লাইনে থাকা সকলের মুখেই মাস্ক দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্বের কোনও চিহ্ন ছিল না। এরপর পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়তে গিয়ে সরু গলির মধ্যে কারও কারও পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। গত ২৫ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে অন্য বহু দোকানের মতো মদের দোকানও বন্ধ ছিল। সোমবার থেকে মদের দোকান খোলার কথা জানা গেলেও এখনও নিশ্চিত নয় কবে ও কখন থেকে রাজ্যে মদের দোকানগুলি খুলবে।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে: কেএমআরসি কর্তা

সোমবার বিকেলেই রাজ্যের মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের পরেই জানিয়ে দেওয়া হবে কী কী খোলা থাকবে ও কী কী এখনও বন্ধ থাকবে। সেই তালিকায় থাকবে মদের দোকানও।

করোনার জেরে মৃতদের সঠিক তালিকা নিয়ে বিতর্কে সুর বদল রাজ্যের অডিট প্যানেলের

সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মেসেজ শেয়ার হচ্ছে। কোনও কোনও মেসেজের দাবি, কেবল অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন‌েই খুলবে মদের দোকান। কিন্তু কোনও কোনও মেসেজ থেকে এমন দাবিও সামনে এসেছে যে, কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া এমনকী রেড জোনেও মদের দোকান খোলা হবে সোমবার থেকে। এর মধ্যে কোনও কোনও মেসেজ শুল্ক ও অর্থ দফতরের থেকে প্রাপ্ত বলেও দাবি করা হয়েছে।

তবে সরকারি সূত্র যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে গ্রিন, অরেঞ্জ জোন তো বটেই কনটেনমেন্ট অঞ্চল ছানা রেড জোনেও খোলা থাকতে পারে মদের দোকান। কিন্তু সব মদের দোকান খোলা হবে না। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মদের দোকানই খোলা হবে। এবং সেটাও খোলা থাকবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই।

রাজ্য সরকারের কাছে মদের দোকান খোলা কার্যত বাধ্যতামূলক, কেননা আবগারি শুল্ক রাজ্যের আয়ের একটি প্রধান উৎস। গত বছর রাজ্য সরকার আবগারি শুল্ক হিসেবে ১১৬২৬.৯৯ কোটি টাকা আয় করেছিল। এবার অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে মনে করা হচ্ছিল আয় হতে পারে ১২৭৩১ কোটি টাকা।

সূত্রানুসারে ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ কোটি টাকা বেশি রোজগারও এবার হতে পারে আবগারি শুল্ক বাবদ। কেননা প্রতিটি মদের বোতলে ৩০ শতাংশ বিক্রয় কর আরোপ করছে বলে জানা যাচ্ছে।

.