This Article is From May 24, 2020

খিদের তাড়নায় দিল্লি স্টেশনে খাবার, জল লুঠ করলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই ঠেলাগাড়ি প্ল্যাটফর্মে আসতেই কীভাবে মানুষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। দ্রুত সেগুলি তুলে নিয়ে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরে যেতে দেখা যায়।

খিদের তাড়নায় দিল্লি স্টেশনে খাবার, জল লুঠ করলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

একে অপরের থেকেও প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের।

নয়াদিল্লি:

খিদে। এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মানুষের বেঁচে থাকার অদম্য তাড়নার অনতিক্রম্য প্রকাশ। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তাণ্ডবে দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী (Migrant) শ্রমিককে রাতারাতি উপার্জনহীন, আশ্রয়হীন করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে খিদের দুর্মর চাহিদায় মানুষ কতটা ঝুঁকি নিতে পারে সেই ছবি দেখা গেল শুক্রবার পুরনো দি‌ল্লির (Old Delhi) এক রেল স্টেশনে। খাবার ও জলভর্তি এক ঠেলাগাড়ি থামিয়ে তা লুঠ করলেন সেখানে উপস্থিত পরিযায়ী শ্রমিকরা। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেলাগাড়ির উপর থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন খাবার ও জলের প্যাকেট।

ওই ঠেলাগাড়িতে চার কার্টন স্ন্যাক ছিল— সম্ভবত চিপস, বিস্কুট ও অন্যান্য প্যাকেটজাত খাবার ছিল তাতে। আর ছিল জল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই ঠেলাগাড়ি প্ল্যাটফর্মে আসতেই কীভাবে মানুষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সেগুলি তুলে নিয়ে শ্রমিকদের সেখান থেকে সরে যেতে দেখা যায়।

যে যতটা পেরেছেন, তুলে নিয়ে নিয়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যায় ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। এমনকী, একে অপরের থেকেও প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁদের। প্রসঙ্গত, কোনও রেল পুলিশ আধিকারিককেই ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। পুরনো দিল্লি স্টেশন থেকে পরিযায়ীদের জন্য ‘শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন' ছাড়ছে।

এই ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। খিদের জ্বালায় পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাণ্ডের কথা আরও জানা যাচ্ছে। দেশব্যাপী লকডাউনের ধাক্কায় অসহায় হয়ে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অভাব ও খিদে চরমে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতিতে নিজের ও পরিবারের গ্রাসাচ্ছেদনের জন্য যে কোনও ঝুঁকি নিতে দেখা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ খাওয়ার মতো নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় তাঁদের অসহায়তা।

এদিকে বাড়ি ফেরার পথে খাবারের অভাব, অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে রেল অবরোধ করে তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন পরিযায়ীরা। এমাসের শুরুতে মধ্যপ্রদেশের সাতনায় খাবারের অভাবে ট্রেনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংঘর্ষের কথাও জানা গিয়েছিল।

.