This Article is From Jul 03, 2018

আমেরিকান সেন্টারে হামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আফতাবের আরও দশ বছর জেল

অস্ত্রের চোরাচালানের একটি মামলায় 10 বছরের সাজা হল আফতাব আনসারির।

আমেরিকান সেন্টারে হামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আফতাবের আরও দশ বছর জেল

কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে হামলার মাথা আফতাব এখন জেলে রয়েছে

নিউ দিল্লি:

অস্ত্রের চোরাচালানের একটি মামলায় 10 বছরের সাজা হল আফতাব আনসারির। গুজরাটের স্পেশাল সিবিআই আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেছে। কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে হামলার মাথা আফতাব এখন জেলে রয়েছে। সারাটা জীবনে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাটাতে হবে তাকে। এরই মধ্যে অস্ত্র মামলায় তার দোষ প্রমাণিত হল। শুধু এটা নয় এরকম আরও বহু মামলা ঝুলছে বিভিন্ন আদালতে। 

2001 সালের অক্টোবর মাসে গুজরাতের পাটান এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। রাতের অন্ধকারে একটি ট্রাকে করে ওই সমস্ত অস্ত্র পাচার করছিল কয়েকজন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বমাল সমেত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অন্য সামগ্রীর সঙ্গেই উদ্ধার হয় 14 কেজি আরডিএক্স। এছাড়া দুটি AK-47 রাইফেল এবং পিস্তলও পাচার করা হচ্ছিল। ছিল রিমোট কন্ট্রোল কন্ট্রোল ডিভাইস থেকে শুরু করে ডিটোনেটরও। পরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জালে ধরা দেয় আরও কয়েকজন। সব মিলিয়ে আফতাবের আগে এই মামলায় মোট চার জনের সাজা হয়েছে। ধৃতরা জানিয়েছে এই অস্ত্র পাচারের সঙ্গে আফতাবের যোগ আছে। হাওলা কারবারিদের কাজে লাগিয়ে 25 লক্ষ টাকা খরচ করে সে এই সমস্ত অস্ত্র কিনেছে বলে দাবি  সিবিআইয়ের। দীর্ঘ তদন্তের পর এরকমই নানা তথ্য উঠে এসেছে।  

আমেরিকান সেন্টার বা এই মামলা বলে নয় আফতাবের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিদের যোগাযোগ নানাভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আফতাবকে 2002 সালে দুবাই থেকে ভারতে নিয়ে আসে সিবিআই। জেরায় সে শিকার করে পাক জঙ্গি দাবি ওমর সেখের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। এই ওমর  আবার কান্দাহারের বিমান অপহরণ কাণ্ডের অন্যতম 'নায়ক'। গোটা দেশের মানুষের স্মৃতিতেই তাজা আমেরিকান সেন্টারের হামলার  ঘটনা। দিনটা ছিল 2002 সালের 22 জানুয়ারি। ভোরের দিকে কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে জান সেন্টারের নিরাপত্তারক্ষীরা। চার পুলিশ কর্মী সহ পাঁচ জন সেদিন প্রাণ হারান। আহত হন 20 জন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.