This Article is From Mar 15, 2019

"বন্দুকধারীকে জাপটে ধরে আমাদের বাঁচালেন তিনি": নিউজিল্যান্ড হামলায় জীবিত ভারতীয়

"অতি সাহসী সেই অজ্ঞাতপরিচয় মানুষটি তারপর ওই বন্দুকববাজকে পেছন থেকে ভয়ানক শক্তভাবে চেপে ধরে রইলেন"

ওই অজ্ঞাতপরিচয় মানুষটির জন্যই বেঁচে গেলাম, বললেন ফয়জল সৈয়দ।

ক্রাইস্টচার্চ:

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে উগ্র ডানপন্থীর গুলিতে মসজিদে প্রার্থনারত ৪৯ জন নিহত হলেন। আহত হলেন অন্তত ২০ জন। এই ভয়াবহ হানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই প্রতিক্রিয়া আসতে আরম্ভ করেছে গোটা বিশ্ব থেকেই। এই হামলার সময় কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্মরণ করছিলেন, কীভাবে এক অজ্ঞাতপরিচয় মানুষের আসল সময় ‘নায়ক' হয়ে ওঠার ফলে বেঁচে গিয়েছিল তাঁর মতো আরও অনেকের জীবন। তিনি এনডিটিভিকে বলেন, “মোটামুটি একশো বর্গমিটারের মতো জায়গা নিয়ে থাকা একটি ছোট মসজিদে ছিলাম আমরা। সেই সময় যখন আচমকা একজন বন্দুকধারী এসে উপস্থিত হয় সামনে এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে, তখন না, কারও কিছু করার থাকে না। কারও কিছু ভাবারও থাকে না”, বলছিলেন ফয়জল সৈয়দ নামের ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। গত ১০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। “আচমকা দেখলাম, অত কিছুর মধ্যে, প্রায় দেবদূতের মতো এসে উপস্থিত হলেন একজন। অতি সাহসী সেই অজ্ঞাতপরিচয় মানুষটি তারপর ওই বন্দুকববাজকে পেছন থেকে ভয়ানক শক্তভাবে চেপে ধরে রইলেন। ততক্ষণ ওইভাবে ছিলেন তিনি, যতক্ষণ না ওই বন্দুকধারী তার বন্দুকটি ফেলে দেয়”।

তাঁর কথায়, “ওই মানুষটি না থাকলে আমি আজ আর কিছুতেই আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। বেঁচেই থাকতাম না। যিনিই হন না কেন তিনি, তাঁকে আমার স্যালুট”।

ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন, কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

এই জোড়া হামলার ঘটনার পর থেকে ন'জন ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতও নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিরূদ্দেশ হওয়ার খবর নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে। ওই ৪৯ জন নিহতের মধ্যে রয়েছেন ২ জন ভারতীয়ও। তৃতীয়জন লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে। জানিয়েছেন এআইএমআইএম-এর নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। শুক্রবারের মনাজের সময়ই বন্দুকধারীরা ওই আক্রমণ চালায় বলে জানা গিয়েছে। শুধু মসজিদের ভিতরেই নয়, মসজিদের বাইরেও গুলি চলে। প্রাথমিক তদন্তের পর এই হামলার ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসবাদ' বলে অ্যাখ্যা দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এর নেপথ্যে বর্ণবিদ্বেষের বীজও লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কোনওভাবেই।

হামলা চালিয়েছে মধ্য কুড়ির এক অস্ট্রেলিয় যুবক।

একটি সূত্র বলছে,  যেখানে গুলি চলেছে সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন। শহরের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে  এখন দেশের মসজিদগুলিতে যেতে বারণ করা হয়েছে। শহরের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে    বলে জানান পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। পুলিশে তরফ থেকে সকলকে বাড়ির  ভেতরেই থাকতে অনুরোধ করা  হয়েছে। 

ইএসপিএন- ক্রিক ইনফোর সাংবাদিক মহম্মদ ইসলাম জানান, বাংলাদেশের ক্রিকেট  টিমের কয়েকজন সদস্য মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। কোনও রকমে তাঁর সেখান  থেকে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সকলেই সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.