This Article is From Sep 13, 2019

মমতার উপরে হামলার ঘটনায় ৩০ বছর পরে বেকসুর খালাস অভিযুক্ত

১৯৯০ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন কংগ্রেসের যুব নেত্রী মমতার (Mamata Banerjee) উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাথায় গুরুতর চোট পান মমতা।

মমতার উপরে হামলার ঘটনায় ৩০ বছর পরে বেকসুর খালাস অভিযুক্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে।

কলকাতা:

প্রায় তিন দশক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপরে নৃশংস আক্রমণের দায়ে অভিযুক্ত লালু আলম (Lalu Alam) বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস পেলেন আদালত থেকে। সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে মামলায় তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়নি। আলিপুর কোর্টের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক পুষ্পল সতপথির কাছ এইদিন অভিযুক্তর আইনজীবী আবেদন করেন দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আদালত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। এই তিন দশকে মারা গিয়েছেন বহু সাক্ষী। এমন পরিস্থিতিতে এই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হোক। আইনজীবীদের কথা শুনে আদালত মনে করে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে লালুকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া যেতে পারে। সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় একথা জানান।

২১ আগস্ট বিচারক সতপথি এই মামলায় সাক্ষীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অভিযুক্তের আইনজীবীর আবেদনে।

তৃণমূল সুপ্রিমোকে গত মাসে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ডাক পাঠায় আদালত। ব্যস্ততা ও আইনশৃঙ্খলার কারণে আদালতে উপস্থিত হয়ে জেরার সম্মুখীন হতে পারেননি মমতা। ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা যায়নি বলে রাধাকান্ত জানান।

১৯৯০ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন কংগ্রেসের যুব নেত্রী মমতার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাথায় গুরুতর চোট পান মমতা। বেশ কিছুদিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।

সেই সময় সিপি(আই)এম নেতা বাদশাহ আলমের ভাই লালু আলম এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।

সরকারি আইনজীবী কান্ত মুখোপাধ্যায় বিচারককে বলেন, ৩০ বছরে পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও পরিণতির দিকে এগোনো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এই মামলায় ইতি টানা যেতে পারে। তিনি বিচারকের কাছে আবেদন জানান। প্রধান অভিযুক্ত লালু আলম, যিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন, তিনি এই মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও বাকি ১১ অভিযুক্তের কেউ মারা গিয়েছেন। অনেকেরই কোনও সন্ধান নেই।

সরকারি আইনজীবী বলেন, এই মামলা হয়তো এখনও অনেত দিন চলবে। সেক্ষেত্রে কেবল কিছু মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে মমতার উপস্থিত হওয়ায় সমস্যা থাকায় ঠিক হয় ভিডিও কনফারেন্সে মমতার সাক্ষ্য নেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবস্থাও করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, এই মামলার প্রধান সাক্ষীদের অনেকেই আজ জীবিত নেই। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনিল মুখোপাধ্যায় এবং তিন প্রাক্তন কাউন্সিলর— দিব্যেন্দু বিশ্বাস, দিলীপ মজুমদার ও অনুপ চট্টোপাধ্যায়।

.