This Article is From Jul 10, 2018

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে বাংলায় দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে এ রাজ্যেই। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে বাংলায় দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

গত কয়েক বছরে চালু হওয়া কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।  

কলকাতা:

 দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে এ রাজ্যেই। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধায় প্রসাশনিক বৈঠকে মমতা বলেন, ' আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছি।  উপকৃত হচ্ছেন বহু মানুষ। দেশের অন্য কোনও  রাজ্যে  এ জিনিস লক্ষ্য করা যাবে না। আবারও  গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। ' 

এরপর গত কয়েক বছরে চালু হওয়া কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।  তিনি বলেন, ' আমরা কন্যাশ্রী থেকে শুরু  করে যুবশ্রী ,সবুজ সাথীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু করেছি। এ সবের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান আমূল বদলাতে শুরু করেছে। ' তিনি জানিয় দেন এভাবেই কাজ করে চলবে তাঁর সরকার। একই সঙ্গে কোচবিহারের মতো বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাতেও উন্নয়ন মূলক  কী কী কাজ হয়েছে তা তুলে ধরেন মমতা। এরপর ছিটমহল হস্তান্তর  প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।  মাত্র কয়েকবছর আগে হওয়া এই হস্তান্তর  দুদেশের মানুষের পক্ষেই ভাল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।

ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নের জন্য পর্ষদ গঠন করেছে তৃণমূল সরকার। পাহাড় থেকে শুরু করে সমুদ্র বিভিন্ন জায়গায় গিরে উঠেছে এরকম নানা পর্ষদ। বরাবরই এলাকা ধরে উন্নয়ন করার পক্ষে জোর দেয়  তৃণমূল সরকার।  তাদের  যুক্তি একেবারে অঞ্চল ধরে ধরে উন্নয়নের কাজ করা গেলে তাতে ,মানুষের ভাল হবে। উন্নয়নের সব কাজ কেন্দ্রীয় ভাবে করা যায় না। সেরকমই একটি উন্নয়ন পর্ষদ  চ্যাংড়াবান্ধা।  ইতিমধ্যেই সেটি কাজ করা শুরু করে দিয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর আশা আগামী দিনে আরও ভাল ভাবে কাজ করবে এই পর্ষদ।  এলাকার উন্নয়নের জন্য সমস্ত মানুষদের এগিয়ে আসার  আহ্বানও জানান মমতা। কামতাপুরি ও রাজবংশীদের মধ্যে থাকা সমস্ত বিভেদ  সরিয়ে রেখে উন্নয়নের স্রোতে সামিল হওয়ার ডাকও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই জনজাতির মধ্যে বিভেদ দীর্ঘদিনের। একটা সময় পৃথক রাজ্য চেয়ে আন্দোলনও করত কামতাপুরিরা। এখনও মাঝে মধ্যে জোরালো হয় সেই দাবি। উন্নয়নের  রাস্তায় নিয়ে এসে দুই জনজাতিকেই ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।   

       



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.