This Article is From Aug 18, 2019

নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে দেশবাসীর জানার অধিকার আছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশেষজ্ঞরা নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা তথ্য হাজির করেছেন।

নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে দেশবাসীর জানার অধিকার আছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'নেতাজি সম্পর্কে এখনও বহু তথ্য সামনে আসেনি', মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কলকাতা:

নেতাজির (Netaji) কী হয়েছিল? দেশের এই বীর সন্তান সম্পর্কে জানার অধিকার ভারতবাসীর রয়েছে। মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee)। ৭৪ বছর আগে ১৯৪৫ সালের ১৮ই অগস্ট, তাইহুকু বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন সুভাষচন্দ্র বসু। এরপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নেতাজির অন্তর্ধান (disappearance), রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানের তাইহুকু বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরেন নেতাজি (Netaji)। সেটা কী কেবল অন্তর্ধানের জন্যই। আমরা জানি না তাঁর কী হয়েছে। ভারতের এই বীর সন্তানের সমন্ধে জানার অধিকার দেশবাসীর রয়েছে।'

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) অন্তর্ধান রহস্যে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ই অগস্ট তাইওয়ানের তাইহুকু বিমানবন্দর (Taihoku Airport in Taiwan) থেকে বিমানে চড়েছিলেন তিনি। তারপর সেই বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। তাতেই মৃত্যু হয় নেতাজির।

তবে, এইসব রিপোর্ট চূড়ান্ত বলে বিবেচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা তথ্য হাজির করেছেন। যেগুলি পরস্পর বিরোধী। কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য ভেদে নানা সময়ে বেশকয়েকটি কমিটি ও কমিশন গঠন করে। ১৯৫৬ সালে শাহনাওয়াজ কমিটি ( Shah Nawaz Committee), ১৯৭০ সালে খোসলা কমিশন (Khosla Commisson) গঠিত হয়। ২০০৫ সালে গঠন করা হয় মুখার্জি কমিশন (Mukherjee Commisson)। তবে সব কমিশনই সম্পূর্ণ রহস্য উন্মোচনে ব্যর্থ।  

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi government), সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে জাপান সরকারের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ (declassified investigative) করে। সেখানে উল্লেখ, তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনাতেই নিহত হন নেতাজি। যদিও অনেকের বিশ্বাস, নেতাজির তাতে মৃত্যু হয়নি, গা-ঢাকা দিয়েছেন।

.