This Article is From Nov 20, 2019

অফিসে না থেকে, আধিকারিকদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

“নিজেদের নেটওয়ার্ক বাড়ানো” এবং শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে বিভিন্ন থানার আইসি এবং ওসিদের সজাগ থাকারও নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী

অফিসে না থেকে, আধিকারিকদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বহরমপুর:

সরকারি আমলা, পুলিশ আধিকারিকদের, দফতরে সীমাবদ্ধ না থেকে, গ্রামীণ এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক বৈঠকের সময়, সরকারি আধিকারিকদের, জনসংযোগ বাড়ানো এবং মানুষের সমস্যার কথা শোনার পরামর্শ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিডিওসহ অন্যান্য আধিকারিক ও আমলা এবং থানার অফিসার ই-চার্জ দের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন, তাঁরা যেন মানুষের বাড়িতে গিয়ে, “তাঁদের খাটে বসে চা খেয়ে সমস্যার কথা শোনেন”। মুখ্যমন্ত্রী  বলেন, “সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথাও মানুষকে জানাতে হবে আপনাদের। মাটিতে কান পেতে চলতে হবে, এবং মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে যেতে হবে”।

বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

“নিজেদের নেটওয়ার্ক বাড়ানো” এবং শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে বিভিন্ন থানার আইসি এবং ওসিদের সজাগ থাকারও নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আইসিডিএস প্রকল্প”-এর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের উচিত মানুষের পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তাঁর কথায়, “সুনিশ্চিত করুন, যাতে কোনও জল না জমে থাকে, এবং প্রত্যেকটি এলাকায় যাতে জঞ্জাল সাফাই হয়। সম্ভব হলে আইসিডিএস মহিলাদেরও এর সঙ্গে যু্ক্ত করুন”।

ফরাক্কা বাঁধের সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত মুখ্যসচিবকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত যাওযার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, সংগঠতি ক্ষেত্রের মানুষ, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং সংখ্যালঘুদের জন্য প্রকল্পগুলি তাঁদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা, এবং বিষয়টি যাতেদ্রুত সম্পন্ন হয়, তার জন্য আধিকারিকদের পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নিশ্চিত করুন, বিড়ি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকসহ অন্যান্যরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প পাচ্ছে কিনা”।

কাশ্মীরে নিহত শ্রমিকদের গ্রামে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেন, সীমান্তে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থার উচিত, সঠিক সমন্বয়ের জন্য, রাজ্যকে, কোনও বিদেশির অনুপ্রবেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো এবং যথাযথ তদন্ত, পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত চার-পাঁচ বছরে তারা কোনও তথ্য জানায়নি”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আসন্ন খ্রিসমাস এবং রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কোনও গুজব বা প্ররোচনায় পা না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে শান্তিতেই দুর্গাপুজো এবং কালীপুজো মিটেছে, সেরকম শীতকালে আসন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়  নানা অনুষ্ঠান ও মেলার সময় কোনওরকম প্ররোচনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.