This Article is From Jun 08, 2019

মমতার আচরণ কিম জং উনের মতো দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের

সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে বিজেপির প্রায় ৫৪ জন কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পদ্ম শিবিরের দাবি খুনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।

মমতার আচরণ কিম জং উনের মতো দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের

গিরিরাজ সিং

হাইলাইটস

  • মমতার আচবণ কিম জং উনের মতো দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজের
  • দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই মনে করেন না: গিরিরাজ
  • বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দিন ফুরিয়ে এসেছে: গিরিরাজ
নিউ দিল্লি:

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Bengal CM Mamata Bannerjee) উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের (Kim Jong  Un) সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) । পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য।  তাঁর কথায়, ‘মমতা কিম জং উনের (Kim Jong  Un)  ভূমিকা পালন করছেন। যারাই কিমের বিরোধিতা করেন তিনি তাঁদের নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। মমতাও (Mamata Bannerjee) সেই কাজই করছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বিজয় মিছিল করতে দিচ্ছেন না। যেভাবে মমতা সরকার চালাচ্ছেন তাতে মনে হয় তিনি সংবিধানের প্রতি আস্থাশীল নন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই মনে করেন না। তিনি কোনও ব্যবস্থাপনা দ্বারাই পরিচালিত হতে রাজি নন। তবে বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দিন ফুরিয়ে এসেছে। মানুষ উন্নয়ন চায়।'

vi52de7

 বাংলায় বিজয় মিলিছে  নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে  রাজ্য প্রশাসন।

সাম্প্রতিক কালে রাজ্যে বিজেপির প্রায় ৫৪ জন কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পদ্ম শিবিরের দাবি খুনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। মমতা অবশ্য প্রথম থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কয়েকদিন আগে যখন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী শপথ নেন সেই অনুষ্ঠানে এই অভিযোগের কারণেই গড়হাজির ছিলেন মমতা। প্রথমে তিনি জানান, এ ধরনের অনুষ্ঠান সাংবিধানিক বিষয়।  সেখানে রাজনৈতিক সমীকরণ কাজ করে না। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু মমতার বক্তব্য জানার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপির তরফ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত দলীয় কর্মীদের পরিবারকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ কথা জানতে পেরে নিজের মত বদল করেন মমতা। টুইট করে তিনি জানান অকারণে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিক খুনে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তাই তাঁর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শপথের অংশ নেওয়া সম্ভব নয়।

বিজেপির তরফে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ বলেন, ‘মমতার আচরণ হিরণ্যকশ্যপের মতো। তাই তাঁর সামনে কেউ রামের নাম করলে তিনি রেগে যাচ্ছেন।' এরপর বারাণসীর পাতাল পুরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামচরিত মানস পাঠান। তাঁর দাবি, ‘মমতার মন শুদ্ধ করতে এই বইটি পড়া খুব জরুরি।'

এসবের মাঝেই দুদিন আগে রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি আর কোনও বিজয় মিছিল করতে পারবে না। মমতা নিজেই অভিযোগ করেছেন, ‘বিজয় মিছিলের নামে তাণ্ডব করছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা। আর তাই বিজয় মিছিল করতে দেওয়া হবে না।' কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আগে থেকে অনুমতি নিয়েছি তাই যেভাবে ঠিক ছিল সেভাবেই বিজয় মিছিল হবে।'

এবার বিজয় মিছিল না করতে দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র আক্রমণ করলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য তুলনা করলেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসকের সঙ্গে।

.