This Article is From Feb 19, 2020

তাপস পালের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ তাপস পালের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।

তাপস পালের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ তাপস পালের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • তাপস পাসের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • ৬১ বছরের বর্ষীয়ান অভিনেতা তাপস পাল মঙ্গলবার মুম্বইতে প্রয়াত হন
  • চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।
কলকাতা:

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ তাপস পালের ( Tapas Pal) মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এসে এই বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি জানান, এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রের ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি'-র কারণে তিনজনের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করলেন। ৬১ বছরের বর্ষীয়ান অভিনেতা তাপস পাল মঙ্গলবার মুম্বইতে প্রয়াত হন। চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের অনেক নেতার সঙ্গে তাঁকেও অভিযুক্ত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি নিন্দনীয়। আমি আমার চোখের সামনে এই কারণে তিনটি মৃত্যু দেখলাম।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আইন নিশ্চয়ই আইনের পথে চলবে। কিন্তু দিনের পর দি‌ন নিগ্রহ, নিঃশব্দ প্রচার... এসব মানুষকে শেষ করে দিচ্ছে।'' তিনি তাপস পালের প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি তাপসের দিকে তাকাতেও পারছি না।''

কেন্দ্রীয় সংস্থার নির্যাতনের ফলে যে তিনজজনের মৃত্যুর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁদের মধ্যে তাপস পাল ছাড়া বাকি দু'জন হলেন তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ এবং অন্য এক নেতা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সুলতান আহমেদ। তাঁকে নারদা স্টিং কেলেঙ্কারিতে ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

মুথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমি এই কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি। যদিও আমাকে বলা হবে এগুলো রাজনীতি। তাপস পালের মৃত্যু প্রমাণ করে সংস্থাগুলি কীভাবে কোনও ব্যক্তিকে মানসিক ভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। ও বিপর্যস্ত হয়েছিল। ওর উপরে অত্যাচার হয়েছিল। ও এক সময় এক নম্বর ফিল্ম তারকা ছিল। ওকে এক বছর জেলে কাটাতে হয়েছে।''

প্রসঙ্গত, সারদা ও নারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও সাংসদদের জেরার সম্মুখীন অথবা জেলে যেতে হয়েছে।

২০১৪ সালে প্রকাশ্যে আসে সারদা কেলেঙ্কারির কথা। স্বল্প বিনিয়োগে বিপুল লাভের টোপ ফেলে বহু মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এদিকে নারদা নিউজের সিইও ম্যাথু স্যামুয়েল এক ব্যবসায়ী সেজে তৃণমূল নেতাদের কাছে গিয়ে দেখা করে ঘুষ দিতে চান। সেই ঘটনাগুলি ভিডিও তোলা হয় লুকনো ক্যামেরার সাহায্যে।

.