This Article is From Jun 03, 2019

টুইটার এবং ফেসবুকে মমতার প্রোফাইলে জুড়ল জয় হিন্দ, জয় বাংলা শব্দ দুটি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক এবং টুইটার এর ছবিও বদলাল। সেখানে যোগ হল জয় হিন্দ এবং জয় বাংলা শব্দ দুটি।

টুইটার এবং ফেসবুকে মমতার প্রোফাইলে জুড়ল জয় হিন্দ, জয় বাংলা শব্দ দুটি

জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনে মেজাজ হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিতে মিশিয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপিঃ মমতা
  • তৃণমূলও টুইটার এবং ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে বদলেছে
  • তাতেও জয় হিন্দ এবং জয় বাংলা শব্দ দুটি যোগ হয়েছে
নিউ দিল্লি:

লোকসভা নির্বাচনের (General Election 2019) আগে রাতারাতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) থেকে শুরু করে বিজেপির (BJP) প্রায় সমস্ত নেতার টুইটার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেদের নামের সঙ্গে জুড়ে  দিয়েছিলেন চৌকিদার শব্দটি। ভোট মিটতে না মিটতেই  চৌকিদার শব্দ তুলে নিয়েছেন মোদী (PM Modi)। বাকিরাও  হেঁটেছেন সেই পথে। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফেসবুক এবং টুইটার এর ছবিও বদলাল। সেখানে যোগ হল জয় হিন্দ এবং জয় বাংলা শব্দ দুটি। মমতার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিতে মিশিয়ে দিয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তাঁর প্রতিবাদ করেই এমন উদ্যোগ মমতার। পাশাপাশি তৃণমূলও টুইটার এবং ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে বদলে এসেছে। তাতেও জয় হিন্দ এবং জয় বাংলা শব্দ দুটি যোগ হয়েছে। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, মাতঙ্গিনী হাজরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবিও যুক্ত হয়েছে প্রোফাইলে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের প্রোফাইলের ছবিও বদলে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে বিতর্ক গত কয়েকদিন ধরেই বড় আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন বিভিন্ন সময়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের দেখলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনী দেওয়া হচ্ছে। মমতা নিজেই দুবার মেজাজ হারিয়েছেন। কয়েকদিন আগে কাঁচড়াপাড়ায় এ নিয়ে কার্যত ধুন্ধুমার হয়েছে। এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করছিলেন রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী। সে খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা চারদিক থেকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখে ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। প্রতিবাদে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের বাইরে অবরোধ শুরু করে বিজেপি। পরে জগদ্দল থানা বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ পর্যন্ত শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন , ‘আমরা  আমরা চাইব মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। তাই তাঁকে গেট ওয়েল সুন কার্ড পাঠাবো। মমতা একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেত্রী   কিন্তু তাঁর আচরণ অস্বাভাবিক এবং অদ্ভুত। তিনি কোন পদে আসীন এবং তার গরিমা কী সেটা মমতার মনে রাখা উচিত। রাজ্যে বিজেপির উপস্থিতিতে তিনি ভয় পেয়েছেন।  বোঝাই যাচ্ছে  তিনি ভাল নেই। আর তাই আমি মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর কিছুদিনের ছুটি নেওয়া উচিত।'

.