This Article is From Oct 14, 2019

"সংখ্যাগরিষ্ঠতাই দেশকে অনিশ্চিত পথ এবং অন্ধকারের তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে": রঘুরাম রাজন

RBI-এর প্রাক্তন গভর্নর বলেন, "আমি বিশ্বাস করি না যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসলে দেশের উন্নতি সাধন করে, বরং তাঁরা একে দুর্বল করে দেয়, কেননা তাঁরা তাঁদের শর্তে দেশ চালাতে চায়"

"সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাতীয়তাবাদ বিভাজন আনে" বললেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর Raghuram Rajan

হাইলাইটস

  • "সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতীয়তাবাদ স্বভাবতই বিভাজক," বলেন রঘুরাম রাজন
  • দেশের অর্থনীতির মন্দার মধ্যেই তাঁর এই মন্তব্য আলোড়ন ফেলেছে
  • ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন
নয়া দিল্লি:

রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন ফের তাঁর সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করলেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে। নিজের সর্বশেষ সমালোচনায় এবার তিনি "সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভাজনবাদী" সরকারের কুপ্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশবাসীকে। এর আগে প্রাক্তন আরবিআইয়ের গভর্নরের (Raghuram Rajan) নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি না মেলায় নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজন। এমনকি সরকারের নোট বাতিল অর্থাৎ ডিমনিটাইজেশনেরও তীক্ষ্ণ সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার রঘুরাম রাজন সরাসরি বললেন যে, কেবল "অভ্যন্তরীণ সংহতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি" এবং "সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ" ভারতের জাতীয় সুরক্ষা জোরদার করতে সহায়তা করে না।

৯ অক্টোবর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের ওপি জিন্দাল ভাষণে রঘুরাম রাজন বলেন, "আমি বিশ্বাস করি না যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসলে দেশের উন্নতি সাধন করে, বরং তাঁরা একে দুর্বল করে দেয়, কেননা তাঁরা তাঁদের শর্তে দেশ চালাতে চায়। ভারতে, যেমন হিন্দুত্ববাদকে সর্বজনীন ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে" ।

"জালিয়াতদের তালিকা পাঠিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীর দফতরে", বোমা ফাটালেন রাজন

"সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাতীয়তাবাদ আসলে স্বতন্ত্রভাবে বিভাজন সৃষ্টি করে কারণ এটি কিছুসংখ্যক নাগরিককে 'অন্য' হিসাবে চিহ্নিত করে দেয় এবং এই সংখ্যালঘুদের প্রকৃত নাগরিক হিসাবে গণ্য করার পক্ষে এমন সব অসম্ভব শর্ত স্থির করে যে শেষ পর্যন্ত ওই নাগরিকরা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান" আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রাজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন।

তিনি বলেন, "দীর্ঘমেয়াদি আবস্থায়, আমার মনে হয় যে বিভাজনবাদী, জনবহুল বৃহতন্ত্রবাদের থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সংহতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভারতের জাতীয় সুরক্ষার মূল কারণ হতে পারে। সুতরাং এই ধরণের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নির্বাচনে অবশ্যই কিছুটা সময়ের জন্যে জয়ী হতে পারে, কিন্তু এটি ভারতকে অন্ধকারের তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে এবং একটি অনিশ্চিত পথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে" । 

"আসল সমস্যা বেকারত্ব, অথচ তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তাভাবনাই নেই": রঘুরাম রাজন

তাঁর এই মন্তব্য দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থা এবং অসম ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকে অবৈধ নাগরিকদের বাদ দেওয়া সংক্রান্ত এনআরসি নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নাগরিকপঞ্জিকরণ নিয়ে তো খোদ বিজেপির মধ্যেই দ্বিমত দেখা গেছে।

আরবিআইয়ের গর্ভনর পদ থেকে রঘুরাম রাজন ইস্তফা দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটির শীর্ষ পদে বসেন উর্জিত প্যাটেল। ২০১৬ সালের নভেম্বরে রাতারাতি পুরনো নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। যা নিয়ে দেশ জুড়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়। 

দেখুন ভিডিও:

.