This Article is From Sep 21, 2019

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতে ২১ শে অক্টোবর নির্বাচন, ফলাফল প্রকাশ ২৪ শে অক্টোবর

Maharashtra, Haryana Assembly Elections:কমিশন বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনের তারিখগুলি ঘোষণা করছে না।হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ২১ অক্টোবর নির্বাচন

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতে ২১ শে অক্টোবর নির্বাচন, ফলাফল প্রকাশ ২৪ শে অক্টোবর

Assembly Elections: মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

নিউ দিল্লি:

মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও হরিয়ানায় (Haryana) আগামী ২১ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।নির্বাচনের ঠিক তিনদিন বাদে ফলাফল ঘোষণা হবে, অর্থাৎ আগামী ২৪ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম কোনো বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চেলছে।  নভেম্বরের ২ হরিয়ানার বর্তমান সরকারের শেষ তারিখ, মহারাষ্ট্রের ৯ নভেম্বর। উত্তরাঞ্চলে ১.৮২ কোটি ভোটার আছে. আর মহারাষ্ট্রে ভোটারের সংখ্যা ৮.৯ কোটি।  নির্বাচনের পদ্ধতি ঘোষণার সাথে সাথে এই রাজ্যগুলিতে আচরণবিধি কার্যকর করা হবে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে বিজেপি এবং তার মিত্র শিবসেনাকে নির্বাচনের মুডে দেখা যাচ্ছে । এই উভয় দলই তাদের ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পদযাত্রা থেকে সভা সমস্ত কিছুরই আয়োজন শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস তাঁর ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশে গত মাসে মহা জন আদেশ যাত্রা করেছিলেন। একই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার পদযাত্রা এবং একটি সমাবেশে নিজের বক্তব্য রাখেন এবং বিজেপিকে আবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

মহারাষ্ট্রে গতবারের নির্বাচনে বিজেপি ২৮৮ -র মধ্যে ১২২ টি আসন লাভ করেছে। একইভাবে বিজেপিও হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে সক্ষম হয়। এই দুটি রাজ্যেই বিজেপি আবারও ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করবে, এবং কংগ্রেস এই দুই রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা পুনরায় ফায়ার পাওয়ার চেষ্টা করবে।  

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনার একসাথে লড়াই করা নিয়ে সমস্ত রকম সংশয়ের অবকাশ ঘটেছে। শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে নিজেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে জোট স্থির, তবে কয়টি আসনে কে লড়াই করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আগামী মাসে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে, ঠাকরে বলেছিলেন যে লোকসভা নির্বাচনের সময় এই ফর্মুলা ঠিক হয়ে গেছিল, তখনই দু'পক্ষ একটি নির্বাচনকালীন জোট গঠন করেছিল। উদ্ভব বলেছিলেন যে. ''মিডিয়াই উভয় পক্ষ ১৩৫-১৩৫ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার খবর প্রচার করছে।''

শিবসেনা একদিকে ভাগাভাগির কথা বললেও, অন্যদিকে এটা জানিয়ে দিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা সেটাতেই মোহর লাগাবেন। কিছুদিন আগে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে কিছু বয়ান অসন্তোষের সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সেই বিষয়ে উদ্ভব ঠাকরে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বিজেপি যা দেবেন সেটাই তারা মেনে নেবে।প্রাপ্ত সূত্র অনুসারে শিবসেনা ১২৬ টি আসনে লড়তে রাজি হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাম মন্দির নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য নিয়েও তিনি আর কোনো রকম প্রশ্ন আপাতত তুলছেন না।  

অন্যদিকে, উদ্ভবের খুড়তুতো ভাই রাজ ঠাকরেও ট্রে দল এমএনএস-এর নেতাদের সাথে ম্যারাথন বৈঠক সম্পন্ন করেছে। জানা গেছে, বেশিরভাগ বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এমএনএস লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, তবে রাজ ঠাকরে রাজ্য জুড়ে বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন।তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিলে লড়াইটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।

.