This Article is From Nov 12, 2019

শিবসেনাকে সমর্থন কংগ্রেসের, মহারাষ্ট্রে আমন্ত্রণ পেল এনসিপি

Maharashtra Government: শিবসেনাকে সমর্থন খারিজ করে দেয়নি কংগ্রেস, তবে প্রতিশ্রুতিহীন বিবৃতি দিয়েছে তারা। দলের নেতা পৃথ্থীরাজ চৌহ্বাণ বলেন, আলোচনা চলবে

এনসিপির উপমুখ্যমন্ত্রীসহ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইঙ্গিত উদ্ধব ঠাকরের (ফাইল ছবি)

মুম্বই: কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে সোমবার কথা বললেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে তাদের অতীতের মতপার্থক্য মুছে ফেলতে চায় দুই দল। এর আগে মুম্বইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিনই নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শিবসেনার একমাত্র মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্ত, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় এনডিএ-র সঙ্গে বন্ধন ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেন তিনি। এক সপ্তাহের টানাপোড়েনের পর, এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে শিবসেনার সরকার গঠনের দিকেই এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. সোমবার সন্ধ্যায় শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরের নেতৃত্বাধীন একটি দল রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে, তাদের সরকার গঠনের জন্য রবিবার ডেকেছিলেন রাজ্যপাল।
     

  2. বহু বছর ধরে বিবাদমান দুই দলের না হওয়া জোটের পরিস্থিতিতে জট কাটানোর হিসেবে অবতীর্ণ হন শরদ পাওয়ার। বিকেলে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে একটি হোটেলে বৈঠকের পর, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে ফোনে ৭ মিনিট কথা বলেন শিবসেনা প্রধান।
     

  3. মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারকে সমর্থন করা হবে কিনা, তা নিয়ে কংগ্রেস দ্বিধায় থাকায়, রাজ্যপালের সঙ্গে দলের বৈঠক পিছিয়ে দেন উদ্ধব ঠাকরে।

    .

  4. সূত্রের খবর, দলীয় প্রধান এবং উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহারাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস নেতা পৃথ্বিরাজ চৌহ্বাণ এবং অশোক চৌহ্বাণ। খবর, বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বলে উদ্ধব ঠাকরেকে জানান সনিয়া গান্ধি।
     

  5. সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে দাঁড়িয়ে, সময় নেন সনিয়া গান্ধি, এদিন সকালে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে বিকেল ৪টে নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ মহারাষ্ট্রের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
     

  6. মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি ও কংগ্রেসের উপমুখ্যমন্ত্রী, এই ফর্মূলাই ঘোরাফেরা করছে মহারাষ্ট্রে।
     

  7. এনসিপি ও কংগ্রেসের কাছে যাওয়ার আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সরে আসে শিবসেনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত।
     

  8. এর আগে, এদিনই শরদ পাওয়ার বলেন, “যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হবে”। সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে, শিবসেনাকে সমর্থনের প্রস্তাব খারিজ করে দেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
     

  9. শুক্রবার পদত্যাগ করেন মহারাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শনিবার, মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হতেই, বিজেপিকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। রাজ্যপালকে তারা জানিয়ে দেয়, সরকার গঠনের দাবি জানাবে না, এরপরেই বিজেপি জানায়, “যদি শিবসেনা মানুষের রায়কে অপমান করতে চায়, এবং এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গড়তে চায়, তাদের জন্য শুভ কামনা রইল”।

    10. প্রায় ৩০ বছরের জোটসঙ্গী বিজেপি ও শিবসেনার, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় শিবসেনা-বিজেপি জোট।১০৫ আসনে জয়লাভ করে বিজেপি, এবং শিবসেনা জেতে ৫৬টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সেরাজ্যে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। মন্ত্রিসভায় সমানভাবে বণ্টন বা ৫০:৫০ চুক্তি অর্থাৎ আড়াই বছরের জন্য তাদের মুখ্যমন্ত্রী দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করে শিবসেনা। অমিত শাহের সঙ্গে তাদের এই আলোচনা হয়েছিল বলে জানায় শিবসেনা। এই ধরণের চুক্তি খারিজ করে দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের বাড়াতে থাকে শিবসেনা।



Post a comment
.