This Article is From Apr 24, 2019

টিকটকের উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

কয়েকটি শর্তের উপর ভিত্তি করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Ban Lifted) করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা  সূত্রে খবর।

টিকটকের উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

দিন কয়েক আগে প্লে স্টোরেও অ্যাপটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

হাইলাইটস

  • টিকটকের উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট
  • কয়েকটি শর্তের উপর ভিত্তি করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে
  • ভিডিও অ্যাপের দাবি ভারতে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করে
চেন্নাই:

টিকটকের (Tiktok) উপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট । কয়েকটি শর্তের উপর ভিত্তি করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Ban Lifted) করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা  সূত্রে খবর। আদালতে এই ভিডিও অ্যাপ  কর্তৃপক্ষের দাবি ভারতে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করেন।  নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদালত জানায় অশালীন কোন ভিডিও দেখাতে পারবে না টিকটক। আর সেটা করা হলে সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে। এ মাসের ৩ তারিখ মাদ্রাসায় কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকটক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কয়েকদিনের মধ্যেই তা কার্যকর হয়ে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত জায়গা থেকেই অ্যাপটিকে  বন্ধ করে  দেওয়া হয়। দিন কয়েক আগে প্লে স্টোরেও অ্যাপটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রার্থী হবেন প্রিয়াঙ্কা! কি বলছে কংগ্রেস?

আগে আদালত জানায় অশালীন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে টিকটকের মাধ্যমে। তাই এই ভিডিও অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। এরপর আবার মাদ্রাস  হাইকোর্টেই শুনানি হল। ত্যাতে অ্যাপের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল আদালত।

এদিকে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ টিকটক সংক্রান্ত আরেকটি মামলা শুনছে। সেই মামলার বিষয় দুটি। প্রথমটি হল  টিকটক কি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী?  এবং দ্বিতীয়টি হল এই অ্যাপের সাহয্যে অশালীন ভিডিও তৈরির বিষয়টা কি উৎসাহ পাচ্ছে? এই মামলার রায় এখনও দেয়নি আদালত।      

মাদ্রাসায় কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে টিকটকের নিয়ামক সংস্থা বাইটডান্স। তারা বলে এ ধরনের নির্দেশ মতামত প্রকাশের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। টিকটকের অ্যাপটি যারা তৈরি করেছে তাদেরও দাবি ব্যবহারকারীরা মাত্র কয়েকটি জিনিস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আদালতে নিয়ামক সংস্থা আরও জানায় এই অ্যাপটি নিষেধ করা নিষিদ্ধ করা মানে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হওয়া শুধু তাই নয় আড়াইশো জন মানুষ চাকরি হারাতে পারেন এই সিদ্ধান্তের ফলে। তবু কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। এবার মাদ্রাস হাইকোর্ট রায় টিকটকের উপর থাকা  নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল।               

.