কমল নাথ সরকারের সঙ্কট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বাকযুদ্ধে জড়াল কংগ্রেস-বিজেপি।
নয়া দিল্লি: মধ্যপ্রদেশের ভবিষ্যৎ (Madhya Pradesh Crisis) কী? সেই উত্তর পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। বুধবার সেই আবেদনের শুনানিতে এজলাসেই বিতণ্ডায় জড়াল সে রাজ্যের যুযুধান দুই পক্ষ শাসক কংগ্রেস এবং বিরোধী বিজেপি (BJP)। সে রাজ্যের শাসক দলের তরফে এদিন শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) সওয়াল করেন আইনজীবী দুস্মন্ত দাভে। পাশাপাশি বিজেপির তরফে সওয়াল করেন মুকুল রোহতাগি। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ক্ষমতা ও বাহুবলে গনতন্ত্রকে ধ্বংস করছে বিজেপি। আইনজীবী দাভে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের সামনে প্রশ্নও তোলেন, "এটা গণতন্ত্র? যেখানে বিধায়কদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মধ্যরাতে রাজ্যপাল বার্তা পাঠিয়ে বলছেন এখনই আস্থা ভোট করাতে হবে।" পাল্টা দিতে ছাড়েননি আইনজীবী মুকুল রোহতাগিও। "হেরে যাবে সেই ভয়ে আস্থা ভোট নিয়ে গড়িমসি করছে কংগ্রেস", এদিন আদালতে এমন দাবি করেন তিনি।
শত্রু করোনায় কাহিল ভারতীয় সেনাও, "করোনা ভাইরাস পজিটিভ" সেনা আধিকারিকের
বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, ক্ষমতা ধরে রাখতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনও আইনি অধিকার নেই। এদিকে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে ১৫ মাসের কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। পাল্টা যুক্তি দিয়ে আইনজীবী রোহতাগির দাবি, "একটা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। তাঁর পূর্ণ এক্তিয়ার আছে এটা দেখার, সাংবিধানিক পথে প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে কিনা।" এই সওয়াল-জবাবের মধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পদের প্রোটোকল মেনেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতি বিধায়কদের পদত্যাগের পদ্ধতি তদন্ত করে দেখবে। কংগ্রেস আবার আবেদন করেছে, যতক্ষণ না পদত্যাগী ওই ৬ বিধায়কের আসনে পুনরায় নির্বাচন হচ্ছে, ততক্ষণ স্থগিত রাখা হোক আস্থা ভোট। অবিলম্বে বেঙ্গালুরুতে আটকে রাখা বিধায়কদের মুক্তি দেওয়া হোক। বিধানসভার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া আস্থা ভোট আয়োজন করা সম্ভব না।
করোনা ভাইরাসের প্রভাব রেল চলাচলেও, এখনও পর্যন্ত বাতিল ৮৫ টি ট্রেন
ইতিমধ্যে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২৬ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তার আগেই কংগ্রেস বিধায়কদের আটকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমল নাথ সরকার। সেই আবেদনের শুনানি এদিন হল সুপ্রিম কোর্টে। জানা গিয়েছে, ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস ও বিজেপি। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, কমল নাথকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন, যে ভাবেই হোক সরকার বাঁচান । অপরদিকে বিজেপি চাইছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে যেভাবেই হোক সংখ্যালঘু প্রতিপন্ন করে ক্ষমতা ফিরে পেতে।