This Article is From Nov 29, 2019

উপনির্বাচনে হেরে এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তিকেই দায়ী করলেন বিজেপি প্রার্থী!

West Bengal By-Polls: বৃহস্পতিবার রাজ্যের কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর ও করিমপুর, তিনটি বিধানসভা আসনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সোমবার ভোটগ্রহণ হয়

উপনির্বাচনে হেরে এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তিকেই দায়ী করলেন বিজেপি প্রার্থী!

West Bengal: উপনির্বাচনের ফলাফলের রাজ্য-রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না, দাবি বিজেপির (প্রতীকী ছবি)

কলকাতা:

রাজ্যের (West Bengal) সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনের ফলাফলে পর রীতিমতো জয়ডঙ্কা বাজিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর ও করিমপুর, তিনটি বিধানসভা আসনেই জয় (West Bengal By-Polls) পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল (TMC)। এদিকে হার মানতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া দলের (BJP) অভিযোগ এনআরসি নিয়ে রাজ্যের মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, আর তার প্রভাবেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিজেপি দাবি করেছে যে উপনির্বাচনের এই ফলাফলের প্রভাব রাজ্যের রাজনীতিতে পড়বে না। গত সোমবার রাজ্যের ওই তিন আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার বলেন, "২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও আমরা হেরেছি। বাংলায় এনআরসি বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার কারণেই আমরা হেরেছি বলে মনে হয়। এনআরসি নিয়ে মানুষ আমাদের ব্যাখ্যা মেনে নেয়নি। এবং আমরাও এই ইস্যুটি নিয়ে জনগণের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছি"।

West Bengal By-Polls Result Live Update: খড়্গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে গেরুয়াকে ফিকে করে সবুজের ঝড়

উপনির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এই হার নিয়ে আত্মসমীক্ষা করতে হবে।

"আমাদের নির্বাচনের ফলাফল খতিয়ে দেখা দরকার। তবে আমরা মনে করি না যে এই ফলাফল বাংলায় বিজেপির বিস্তারে কোনও প্রভাব ফেলবে। বাস্তবে দেখা যায়, উপ নির্বাচনের সময় যারা সরকারে থাকে তারাই জিতে যায়" , বলেন দিলীপ ঘোষ।

উপনির্বাচনের এই ফলাফল রাজ্যে প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ এবং বিভ্রান্তিরই প্রতিচ্ছবি কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে দিলীপ ঘোষ নেতিবাচক জবাব দেন।

"কেন এনআরসি এই হারের ক্ষেত্রে ইস্যু হবে? ২০১৯ (সংসদীয়)-এর নির্বাচনেও এনআরসি ইস্যু ছিল, তারপরেও আমরা জিতেছি। সুতরাং আমাদের হারের জন্য এনআরসি ইস্যুটিকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। প্রার্থী বাছাই নিয়েও অনেক জায়গায় ক্ষোভও থাকতে পারে", একথাও বলেন তিনি। 

বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন দেব সিনহা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কালিয়াগঞ্জ আসন থেকে জিতেছেন এবং তাঁর নিকটতম বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী কমল চন্দ্র সরকারকে মাত্র ২,৪১৮ ভোটে হারিয়েছেন।

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি বিধানসভা কেন্দ্র হল কালিয়াগঞ্জ , যেখান থেকে বিজেপি কয়েক মাস আগেই জিতেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, এই বিধানসভায় ৫৬,০০০ এরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল গেরুয়া দল।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ সরকার বিজেপির হাত থেকে খড়গপুর সদর আসনটি ছিনিয়ে নেন। তিনি গেরুয়া দলের প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা কে ২০,৭৮৮ ভোটের ব্যবধানে হারান। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির এই আসনে প্রায় ৪৫,০০০ ভোটের লিড ছিল। দিলীপ ঘোষ ওই আসন থেকে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ওই আসনটি খালি হয়ে যায়।

এদিকে করিমপুরে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ও তাঁর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ২৪,০০০ এরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র কৃষ্ণনগর থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার আগে করিমপুর থেকে জিতেছিলেন। 

তবে কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর আসন থেকে এবারই প্রথম জয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

জেনে নিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন মহুয়া মৈত্র:

.