This Article is From May 19, 2019

অভিনয় থেকে রাজনীতি, যাদবপুরে চুরাশির মমতা হয়ে উঠতে পারবেন মিমি চক্রবর্তী?

Elections 2019: যাদবপুরে(Jadavpur Loksabha) তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) বিরুদ্ধে বাম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

অভিনয় থেকে রাজনীতি, যাদবপুরে চুরাশির মমতা হয়ে উঠতে পারবেন মিমি চক্রবর্তী?
কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Elections 2019) শেষ দফায় রবিবার রাজ্যের ৯ আসনের সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ হবে যাদবপুর (Jadavpur) লোকসভা কেন্দ্রে। রাজ্য রাজনীতিতে এই কেন্দ্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদবপুর কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অন্যদিকে, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বামেরা। ফলে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে রাজনীতিতে নবাগতা তথা যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chakraborty)। যাদপুর(Jadavpur Loksabha) এমনই এক লোকসভা কেন্দ্র, যেখান থেকে পরপর তিনবার জয়ী হতে পারে নি কোনও দল। পরপর দুবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা আইনজীবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে তৃতীয়বার ১৯৮৪ সালে তিনি আর জেতেন নি, সেবার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে যাদবপুরে জিতেছিলেন সেই সময়ের এক তরুণী কংগ্রেস প্রার্থী, যার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) ।

Elections 2019: শেষ দফায় ভোটের ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হেভিওয়েটরা

আচ্ছা যাদবপুরে মিমি চক্রবর্তীকে(Mimi Chakraborty) দিয়ে কি ট্রেন্ড ভাঙতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ট্রেন্ড ভেঙে কি  যাদবপুরে পরপর তিনবার ঘাসফুল ফুটবে? তৃণমূলের এক প্রবীণ কর্মীকে এই প্রশ্ন করাতে তিনি ফিরে গেলেন ১৯৮৪ লোকসভা নির্বাচনে। সেই সময় কংগ্রেসের এক তরুণী প্রার্থী হারিয়ে দিয়েছিলেন দুঁদে আইনজীবী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। এবার যাদবপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

'৯৮ এর জোটের পরে রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূলই; সীতারাম ইয়েচুরি

যাদবপুরে তৃতীয়বার ঘাসফুল ফোটাতে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৪ লোকসভা নির্বাচনে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে জয় হাসিল করে নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও চ্যালেঞ্জটা কিছুটা সেইরকমই, মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বামেদের প্রার্থী আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যাদবপুর কেন্দ্রে এবার জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Elections 2019) আবহে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন গতবারের বোলপুর কেন্দ্রে ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী প্রার্থী অনুপম হাজরা। সুগত বসুর জায়গায় এবার যাদবপুরে মিমি চক্রবর্তীকে(Mimi Chhakraborti) প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসু। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি না দেওয়ায় সুগত বস নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

7th Phase: কী হয়, কী হয়! কাল শেষ দফার ভোট দেবেন এই রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ

২০০৯ লোকসভা নির্বাচনেও(Loksabha Elections) যাদবপুর কেন্দ্র ঘাসফুল ফোটে।সেবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে যাদবপুর থেকে জয়লাভ করেন গায়ক কবি, কবীর সুমন। ভাঙর এলাকায় দলের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে সেব কাটিয়ে দলের প্রার্থীকে জেতাতে সব নেতাকর্মীরা একযোগে কাজ করবেন বলেই আশাবাদী তৃণমূল নেতারা। সারদা এবং নারদ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।সেই মামলায় মামলাকারীদের আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সারদা এবং নারদ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।সেই মামলায় মামলাকারীদের ইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “অন্যদিকে থেকে বামেদের সম্ভাবনা বেশী, কারণ কোনও দলই সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলে না”। পাশাপাশি চাকরি, শিল্পোন্নয়নের মতো মূল ইস্যুগুলি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে বিজেপি ও তৃণমূল, ভোটারদের মেরুকরণ করছে বলে অভিযোগ করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

২০১৯ এর জানুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অনুপম হাজরা। তাঁকেই এবার যাদবপুরে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অনুপম হাজরা বলেন, “মানুষ জানে, লোকসভা নির্বাচন দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার ভোট। ২০ থেকে ৩০ আসন পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে পারবে না, তেমনই, ভোটের পর অস্তিত্ত্বহীন হয়ে পড়বে বামেরা”।

২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ৪৫.৯২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, বামেরা পেয়েছিল ৩৬.০৮ শতাংশ ভোট। এবার যাদবপুরে কোনও প্রার্থী দেয় নি কংগ্রেস।

.