This Article is From May 15, 2019

মোদীর পরাজয় সুনিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুলকে ‘মেনে নেবে’ তৃণমূল

আরও একবার ডিএমকে সভাপতি স্ট্যালিন বলেছেন দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধী-ই।এরপর তৃণমূল সূত্রে বলা হয় মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করাই বড় ব্যাপার। কে প্রধানমন্ত্রী হলেন সেটা কোনও বিষয় নয়।

মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে রাহুলকে 'মেনে নেবে' বাংলা শাসক শিবির।

হাইলাইটস

  • মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে রাহুলকে মেনে নেবে মমতা ব্রিগেড
  • আরও একবার রাহুলকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছেন ডিএমকে সভাপতি
  • এরপরই দলীয় সুত্র থেকে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া জানা গেল
নিউ দিল্লি:

দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বদল দেখতে চায় তৃণমূল। আর সেটা  যাতে  হয় তার জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Congress President Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে আপত্তি নেই তৃণমূলের। নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পদ থেকে সরাতে রাহুলকে মেনে নেবে বাংলা শাসক শিবির । দলীয় সূত্র থেকে এই  খবর জানা  গিয়েছ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার আরও একবার ডিএমকে সভাপতি স্ট্যালিন বলেছেন দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হবেন রাহুল গান্ধী-ই।এরপর তৃণমূল সূত্রে বলা হয় মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করাই বড় ব্যাপার। কে প্রধানমন্ত্রী হলেন সেটা কোনও বিষয় নয়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা প্রথম থেকেই বলে আসছেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়। ভোট শেষ হয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বুঝে বিরোধীদের মধ্যে থেকে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে বেছে নেওয়া হবে বলে একাধিকবার জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মনে  হয়েছে এখন এ নিয়ে আলোচনা  করলে বিরোধী ঐক্যে ধাক্কা লাগতে পারে।   

প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ: মমতা

কয়েকটি আঞ্চলিক দল জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তালিকায় মায়াবতীর বিএসপি'র পাশাপাশি মমতার তৃণমূলও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন রাহুলের সঙ্গে মমতার সমস্যা থাকাতেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জোট হয়নি। শেষমেশ বিরোধী দলগুলির মধ্যে ঐক্য তৈরি হবে কি না তা অনেকাংশেই নির্ভর করছে  এই সমীকরণের উপর।        

অমিতের সভায় বিশৃঙ্খলা, মমতা-বিজেপি বাকযুদ্ধ তুঙ্গে: ১০টি তথ্য

অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ প্রান্তে  অন্য ধরনের রাজনৈতিক  তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দক্ষিণ ভারতে একাধিক রাজ্যে সফর করেছেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতার  সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই আঞ্চলিক দলগুলির নৈকট্যের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন  টিআরএস প্রধান। এই উদ্যোগেও আশার আলো দেখছে তৃণমূল। তারা মনে করছে এভাবেই আঞ্চলিক দল গুলি কাছাকাছি আসছে এবং নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ আরও চওড়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মমতা। গত বছর তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় মমতাও তেলেঙ্গানা যাওয়ার কথা বলেছিলেন। এখনও  পর্যন্ত সেটা হয়নি।

ইতিমধ্যে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিন, অন্ধপ্রদেশের নেতা জগমোহন  রেড্ডি, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে দেখা করেছেন চন্দ্রশেখর রাও।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির সুসম্পর্ক সুবিদিত।  কিন্তু দক্ষিণ ভারতে গেরুয়া শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পওড়ায় বিকল্প ভেবে রাখছেন কেসিআর। এবার  অন্ধ্রপ্রদেসের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া ওয়াই এস আর কংগ্রেসের প্রধান  জহমোহনের অবস্থাও একই।

নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে এলেও কয়েকটি  দলের অবস্থান নিয়ে সংশয় রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি। নবীন শেষমেশ কোন দিকে যান তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে সমদূরত্ব   রক্ষা করবেন বিজেডি প্রধান।    

.