This Article is From May 19, 2019

সপ্তম দফা ভোটের আগে কমিশনকে 'নিরপেক্ষ' ভুমিকা পালনের অনুরোধ মমতার

Lok Sabha Elections 2019: ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সপ্তম দফা ভোটের আগে  কমিশনকে 'নিরপেক্ষ' ভুমিকা পালনের অনুরোধ মমতার

Lok Sabha Elections 2019: কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ছাড়া নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করুনঃ মমতা

হাইলাইটস

  • সপ্তম দফা ভোটের আগে কমিশনকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালনের অনুরোধ মমতার
  • কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ছাড়া নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করুনঃ মমতা
  • নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বৈরিতা নতুন কোনও বিষয় নয়
কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের (General Elections 2019) অন্তিম দফার (Final Phase Of Voting) ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Chief) । কয়েকদিন আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (BJP President) কলকাতায় রোড শো করেন। সেই রোড শো-কে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যাসাগর কলেজে ভাঙচুর চলে। এরপর বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনে কমিশন (Poll Body) । প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া নিরাপত্তার ব্যাপারে বাড়তি বন্দোবস্ত করা হয় কমিশনের তরফে। এমনই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) সুনীল অরোরাকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে শনিবার  তিনি লিখেছেন, ‘কাল অন্তিম পর্বের ভোটগ্রহণ। আমি কমিশনকে অনুরোধ করব যাতে ভালো ভাবে ভোট হয় সেটা আপনারা দেখুন। কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ছাড়া নিরপেক্ষ ভাবে যাতে ভোটপর্ব সম্পন্ন করা যায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের।' পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তাঁর অনুরোধ দেশের গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে রক্ষা করার জন্য বিরোধী দলগুলিকেও সম্মান দেওয়া প্রয়োজন।

যাদবপুরে চুরাশির মমতা হয়ে উঠতে পারবেন মিমি চক্রবর্তী ?

১১ এপ্রিল থেকে ভোট পর্ব শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কমিশনের তরফে বেশ কয়েকটি এমন  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেগুলোকে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সে রকম কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছেন মমতা। তাঁর মনে হয়েছে কমিশনের  কিছু সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট।

Lok Sabha Election 2019 7th Phase: শেষ দফার ভোটে কড়া নিরাপত্তা বাংলায়

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বৈরিতা নতুন কোনও বিষয় নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় বেশ কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদের রদবদল করে কমিশন। পুলিশ কর্তা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে শাসক দল।

Elections 2019: শেষ দফায় ভোটের ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হেভিওয়েটরা

এরই মধ্যে কোচবিহারে ভোট শুরুর আগে তৎকালীন জেলা শাসককে সরিয়ে দেয় কমিশন। এই ঘটনার দিন কয়েক আগে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেন জেলাশাসক নিজের ভূমিকা পালন করছেন না। তৃণমূলকে অকারণে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। এরপরই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তৃণমূল দাবি করে একজন বিশেষ ব্যক্তির কোথায় কমিশন এ ধরনের কাজ করেছে। এরকমই বেশ কয়েকটি ঘটনাকে সামনে রেখেই ভোট পর্ব সম্পন্ন হতে চলেছে।

এদিকে নিজের চিঠিতে বিজেপি সভাপতি রোড শোয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা  নিয়েই রোড শো-টি আয়োজন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে মমতার অভিযোগ কমিশন নিযুক্ত ২ পর্যবেক্ষক প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে পরিচালিত হয়েছেন।

.