This Article is From May 02, 2019

'চাবিরঞ্জনের' হাওড়ায় এবারও গোল করবেন প্রসূণ?

এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াই হচ্ছে। মানে এই কেন্দ্রও চতুর্মুখী লড়াই দেখছে।

'চাবিরঞ্জনের'  হাওড়ায় এবারও গোল করবেন প্রসূণ?

১৯৮৪ সালে বামদুর্গে ফাটল ধরান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি।

হাইলাইটস

  • কলকাতার যমজ শহর হাওড়ায় এখন তুঙ্গে ভোট-প্রস্তুতি
  • পঞ্চম দফায় রাজ্যের যে সাতটি আসনে ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে আছে হাওড়া
  • এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াই হচ্ছে
কলকাতা:

কলকাতার যমজ শহর (Twin City)) হাওড়ায় (Howrah LS Constituency) এখন তুঙ্গে ভোট-প্রস্তুতি। পঞ্চম দফায় (5th Phase Of General Election) রাজ্যের যে সাতটি আসনে ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে এই হাওড়া। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস ও বিজেপির লড়াই হচ্ছে। মানে এই কেন্দ্রও চতুর্মুখী লড়াই দেখছে।  বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া মধ্য, শিবপুর, হাওড়া দক্ষিণ সাঁকরাইল এবং পাঁচলা এই বিধানসভা নিয়ে তৈরি হয়েছে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র। ১৯৫২ থেকেই এখানে ভোট হচ্ছে। বারবার দেখা গিয়েছে হাওড়ার সাংসদ  বদল হয়। প্রথম নির্বাচনে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ কুমার দত্ত নির্বাচনে সিপিআইয়ের মহম্মদ  ইলিয়াসর।

অর্জুনকে সৈনিক করে ব্যারাকপুরে পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি?

সমর মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচিত বামপন্থী নেতা এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বামদুর্গে ফাটল ধরান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। প্রবীণরা বলেন নির্বাচনে প্রচারে হাতে চাবি নিয়ে ঘুরতেন প্রিয়। ভোটারদের বলতেন তাঁকে একবার নির্বাচিত করলেই হাওড়া সমস্ত বন্ধ কল-কারখানা তিনি খুলে দেবেন। তাই তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল চাবি রঞ্জন। এরপর সাম্প্রতিককালে কখনও স্বদেশ চট্টোপাধ্যায় বা সুশান্ত চক্রবর্তীর মতো বাম সাংসদরা এই কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নয়ের দশকের একদম শেষে এখান থেকে নির্বাচিত হন তৃণমূলের বিক্রম সরকার। পরে অবশ্য তিনি দল ছেড়ে দেন। শুধু তাই নয় বিক্রম এখন বিজেপিতে যোগ  দিয়েছেন।      এরপর আবার কেন্দ্রটি বামেদের দখলে চলে যায়। বছর দশেক আগে জিতে আসেন তৃণমূলের অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারপর প্রসূন মুখোপাধ্যায় জিতছেন  এই কেন্দ্র থেকে ।এবার মূল লড়াইটা তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। বর্তমান সাংসদকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপির বাজি প্রাক্তন সাংবাদিক রন্টিদেব সেনগুপ্ত। রন্টির সঙ্ঘ-যোগ সুবিদিত। প্রচুর পরিমাণে অবাঙালি ভোটার আছে হাওড়ায়। সে কথা মাথায় রেখে এই কেন্দ্রে ভালো ফলের আশা করছেন বিজেপি প্রার্থী।  পাশাপাশি দীর্ঘদিন সাংসদ থাকার সুবাদে যে কাজ করেছেন তার উপরই আস্থা রাখছেন প্রসূণ। গঙ্গা পাড়ের এই কেন্দ্র কাকে বেছে নিচ্ছেন তা জানা যাবে ২৩ মে।  

.