This Article is From Apr 18, 2019

প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, বললেন ফিরদৌস আহমেদ

তাঁর ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ (১৯৯৮), ‘গঙ্গাযাত্রা’ (২০০৯), ‘কুসুম কুসুম প্রেম’ (২০১১), ‘এক কাপ চাপ’ (২০১৪)-এর জন্য তিনি চারবার বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী, বললেন ফিরদৌস আহমেদ
ঢাকা:

বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন। প্রসঙ্গত, ফিরদৌস আহমেদকে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য। এছাড়া, তাঁকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, বাতিল করা হয় তাঁর ব্যবসায়িক ভিসাও। বিডিনিউজ২৪ পোর্টালকে তিনি বলেন, “আমি এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করি, আপনারা আমাকে ঠিকই ক্ষমা করে দেবেন। সত্যি বলতে, এটুকু আশা করা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই”।

প্রচারে অংশগ্রহণ: 'ভারত ছাড়ো' নোটিস দেওয়া হল আর এক বাংলাদেশি অভিনেতাকে

তাঁর কথায়, “আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের ভালোবাসায় ও শ্রদ্ধায় আপ্লুত হয়ে গিয়ে অংশ নিয়েছিলাম ওই প্রচারে”। মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরে আসেন ফিরদৌস। তারপর বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন যে, তিনি বুঝতে পেরেছেন, খুব বড় একটি ‘ভুল' করে ফেলেছেন। এক দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়া মোটেই ঠিক কাজ নয়।

তাঁর ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি' (১৯৯৮), ‘গঙ্গাযাত্রা' (২০০৯), ‘কুসুম কুসুম প্রেম' (২০১১), ‘এক কাপ চাপ' (২০১৪)-এর জন্য তিনি চারবার বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।

ফিরদৌসের পর ফের প্রচারে এসে বিপাকে আরও এক বাংলাদেশি অভিনেতা

এর আগেই ফিরদৌস আহমেদকে দিয়ে দলীয় প্রার্থীর প্রচার করিয়েছে  তৃণমূল, এই অভিযোগ করেন  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, "তৃণমূল একজন বিদেশি নাগরিককে প্রচারের অংশ করল কেন? তিনি কোন দলকে পছন্দ করেন সেটা রাজ্যের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া কি ঠিক? তৃণমূল কী করে ভাবল এরকম একটা কাজ করা  উচিত"। তাঁর অভিযোগ, এভাবেই প্রকাশ্যে তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন।

তৃণমূলের মূল লক্ষ্যই হল বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া: সোমেন মিত্র

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানিয়ে দিয়েছিল যে, যত শীঘ্র সম্ভব তিনি যেন নিজের দেশে ফিরে আসেন। রবিবার রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রচারে তিনি যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলা ছবির আরও দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রী অঙ্কুশ হাজরা এবং পায়েল সরকার।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.