This Article is From May 19, 2019

ভোটের মাঝে মোদির কেদারনাথ সফর ‘অনৈতিক ও অন্যায্য’; কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

তৃণমূল ওই চিঠিতে জানিয়েছে, সফরকালে তার কার্যক্রমের প্রতিটি মিনিট বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে, ভোটারদের সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে।

ভোটের মাঝে মোদির কেদারনাথ সফর ‘অনৈতিক ও অন্যায্য’; কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ভ্রমণে নরেন্দ্র মোদি

কলকাতা:

উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ধ্যান ও পরিদর্শন (visit to Kedarnath shrine) যেভাবে ভোটের আগে ব্যাপকভাবে টেলিভিশনে তুলে ধরা হচ্ছে তাতে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজও বদ্রীনাথ সফরে যাবেন মোদি!

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল আজ নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিতে জানিয়েছে, “...২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারাভিযান ১৭ মে, সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়ে গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে শ্রী নরেন্দ্র মোদির কেদারনাথ যাত্রাটি সব জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে এবং গত দুইদিন ব্যাপকভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে। এটি আদর্শ আচরণবিধির একটি গুরুতর লঙ্ঘন।” 

কন্টকাকীর্ণ নয়, মোদির কেদারনাথ ভ্রমণ লাল গালিচার পথে; বিধিভঙ্গের অভিযোগ

তৃণমূলের সংসদ সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়ানের (Trinamool parliamentarian Derek O'Brien) স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তিনি বলেন, “কেদারনাথ মন্দিরের মাস্টার প্ল্যান যে প্রস্তুত তা তিনি ঘোষণা করেছিলেন এবং কেদারনাথে তিনি গণমাধ্যমকেও সম্বোধন করেছেন। এটা একেবারে অনৈতিক ও ভুল।”

উত্তরাখণ্ডের বিজেপির টুইটারে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী মোদি পিঠে একটা বালিশ দিয়ে, বিছানায় বসে, ধ্যান করছেন। পরণে গেরুয়া বস্ত্র। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাত জড়ো করে গুহার মধ্যে প্রবেশ করছেন। নির্বাচন কমিশন মোদিকে হিমালয়ের এই মন্দির পরিদর্শনের অনুমতি দেয়, এবং মনে করিয়ে দেয় যে নির্বাচনী বিধি এখনও কার্যকর রয়েছে।

তৃণমূল ওই চিঠিতে জানিয়েছে, “সফরকালে তার কার্যক্রমের প্রতিটি মিনিট বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে, ভোটারদের সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করার একটি ভয়ানক উদ্দেশ্য নিয়েই তা করা হচ্ছে। মোদি মোদি স্লোগানও পিছন থেকে শোনা যাচ্ছে। এই সব পদক্ষেপগুলি একেবারে পরিকল্পিত এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের দিনেও ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে নির্বাচন কমিশন, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ সংস্থা চোখ ও কান বন্ধ করে বিধি লঙ্ঘনের অনুমতি দিচ্ছে।” 

যত কাণ্ড কেদারনাথে! পিছনে বালিশ, পাশে হুক নিয়ে ধ্যান করছেন প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনের তরফেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলে বিরোধী দল আক্রমণ শানিয়েছে। ২১ এপ্রিল গুজরাটের একটি বক্তৃতা সহ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার অংশে কোনও বিধি লঙ্ঘনই নাকি খুঁজে পায়নি কমিশন। ২১ এপ্রিল মোদি তাঁর ভাষণে দাবি করেছিলেন যে তার সরকার অভিনন্দন বর্তমানকে নিরাপদ ফেরত পেতে পাকিস্তানকে তঠস্থ করে রেখেছিল।

নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে একজন, অশোক লাভাসা, বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে কমিশনের সভায় অংশ নিতেও বিরত থাকেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ পর্বে আজ সাতটি রাজ্য ও এক কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ভোট হচ্ছে। ফলাফল ২৩ মে।

.