This Article is From May 16, 2019

Lok Sabha Election 2019: দেরিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজে যোগ দিলেন রাজীব

Loksabha Election 2019: নির্দিষ্ট সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry Of Home Affairs) কাজে নির্দিষ্ট সময়ের পরে যোগ দিলেন পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার।

Lok Sabha Election 2019: দেরিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজে যোগ দিলেন রাজীব

হাইলাইটস

  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজে দেরিতে যোগ দিলেন রাজীব কুমার
  • মন্ত্রকের সূত্র বলছে রাজীব নিজের হাজিরা সম্পর্কে কোনও তথ্যও দেননি
  • এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি
কলকাতা:

নির্দিষ্ট সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry Of Home Affairs) কাজে যোগ দিতে পারলেন না কলকাতা  পুলিশের  প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাদে কাজে যোগ দেন তিনি। ভোট প্রক্রিয়া (General Elections 2019) শুরুর আগেই তাঁর পদ বদল হয়। এখন কাজ করছিলেন ডিআইজি সিআইডি (DIG CID) পদে। সপ্তম  দফার ভোট (Phase Seven Of General Elections)  শুরুর আগে বুধবার রাতে তাঁকে পদ থেকে  সরিয়ে  দেয় নির্বাচন কমিশন। বলা হয়  বৃহস্পতিবার  সকাল দশটায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে হাজির হয়ে নিজের দায়িত্ব বুঝে  নিতে হবে রাজীবকে। কিন্তু কমিশনের বলে দেওয়া সময়  নতুন কাজে যোগ দিতে পারলেন না রাজীব। যোগ দিলেন দেরিতে। মন্ত্রকের সূত্র  বলছে রাজীব  নিজের হাজিরা  সম্পর্কে কোনও তথ্যও দেননি। পরে অবশ্য তিনি হাজিরা দেন। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। রাজীবকে মাথা করে সারদা মামলায় (Sardah Chit Fund Scam ) বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য সরকার। তখন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন রাজীব। পরে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করে তথ্য প্রমাণের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হয়েছে । সিটের প্রধান হিসেবে রাজীবকে কাঠগড়ায় তোলে সিবিআই। তাঁকে জেরাও করতে চায়। কিন্তু বারবার জেরা এড়িয়ে যান রাজীব।

আদর্শ আচরণ বিধি এখন মোদী কোড অফ মিস কনডাক্টে পরিণত হয়েছে দাবি বিরোধীদের

শেষমেশ বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেলা করার পরিকল্পনা করে সিবিআই। তখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে সরকারি বাসভবনেই থাকতেন রাজীব। সেখানে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা পৌঁছতেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নয়। কোনও অবস্থাতেই রাজীবের সঙ্গে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের দেখা করতে দিতে রাজি হন না কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। গোলমাল বাড়তে থাকায় সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু করেন মমতা দীর্ঘ ৭০ ঘন্টা ধর্মতলায় অবস্থান করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জানায় রাজীবকে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতো শিলংয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের জেরার সম্মুখীন হন রাজীব। প্রায় ৬ দিন ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। আরও নানা ঘটনা ঘটতে থাকে একই সময়। শেষমেশ বিজেপি সভাপতির রোড শোকে   কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া গোলমালের জেরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে বদলি করা হয় রাজীবকে।

(সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের  তথ্য সংযোজিত হয়েছে )

.