This Article is From Apr 07, 2020

বহু রাজ্যই বাড়াতে চাইছে লকডাউন; ১৪ এপ্রিলেই লকডাউন শেষ না হওয়ার জল্পনা: সরকারি সূত্র

সরকারি সূত্রের খবর, “বহু রাজ্যের সরকার ও বিশেষজ্ঞরা” ২১ দিনের লকডাউন ১৪ এপ্রিলের মেয়াদের পরেও বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

বহু রাজ্যই বাড়াতে চাইছে লকডাউন; ১৪ এপ্রিলেই লকডাউন শেষ না হওয়ার জল্পনা: সরকারি সূত্র

২৪ মার্চ ২১ দিনের জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লি:

২১ দিনেই শেষ নয়, দেশের স্বার্থে বাড়তে পারে জাতীয় লকডাউন। শীর্ষস্থানীয় সরকারি সূত্রের খবর, “বহু রাজ্যের সরকার ও বিশেষজ্ঞরা” ২১ দিনের লকডাউন ১৪ এপ্রিলের মেয়াদের পরেও বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার সেই দিকেই চিন্তাভাবনা করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, মানুষজনকে দীর্ঘ পথের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি মন্ত্রীদের একটি ‘গ্রেডেড প্ল্যান' করে নিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যেখানে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দিশা নির্দেশ করা থাকবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছিলেন, লকডাউন পর্ব বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ‘জাতীয় স্বার্থে'ই নেওয়া হবে এবং ‘সঠিক সময়ে' তা ঘোষণাও করা হবে।

“আমরা প্রতি মিনিটে বিশ্বের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। জাতীয় স্বার্থে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবং সেই সিদ্ধান্ত সঠিক সময়েই ঘোষণা করা হবে,” বলেন প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট একটি দল সমস্ত পরিস্থিতির মূল্যায়ন করছে। 

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও'ও চাইছেন এই লকডাউন পর্বকে বাড়াতে। “আমার ব্যক্তিগত মতামত হ'ল লকডাউনকে আরও দীর্ঘমেয়াদি করা। আমাদের জীবন বাঁচানো দরকার, পরে আমরা অর্থনীতি বাঁচাতে পারি,” বলেন কে চন্দ্রশেখর, যার নিজের রাজ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংখ্যায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পর্যায়ক্রমে সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহারের পক্ষে। তিনি বলেন, “আমরা অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে পারি না, পর্যায়ক্রমে এটি করতে হবে।” বিজেপি-নেতৃত্বাধীন অসম সরকারও জানিয়েছে যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের দেশব্যাপী জাতীয় লকডাউন প্রত্যাহারের “নিয়মতান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিক” যে কোনও প্রস্তাব সমর্থন করবে।

“আমরা লকডাউন প্রত্যাহারের পদ্ধতি কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে রাজ্যের পরামর্শ নিয়েছি। আমরা চাই না যে ১৫ এপ্রিল সকালেই সবকিছু খুলে যাক। আমরা চাই যে এই লকডাউন নিয়ম মেনে এবং বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রত্যাহার হোক যাতে লকডাউনের সতর্কতা-সুবিধা সব একদিনেই নষ্ট না হয়ে যায়,” বলেন অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের এক শীর্ষ কর্মকর্তাও জানান যে এখনই নিষেধাজ্ঞার অবসান বেশ সমস্যার। “আমরা তখনই লকডাউন তুলে নিতে পারব যখন আমরা একেবারে নিশ্চিত হয়ে যাব যে রাজ্য করোনামুক্ত হয়েছে। যদি একজনও কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তি থেকে থাকেন তবে লকডাউন তুলতে খুব অসুবিধা হবে এবং সে কারণেই সময় আমাদের নিতেই হবে,” বলেন উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনীশ অবস্থি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৪ মার্চ ২১ দিনের জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জারি রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি বলেছিলেন যে করোনাভাইরাসের নিরসনের জন্য সরকারের অবশ্যই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা উচিত এবং মন্ত্রকগুলিকে কোথায় কোন বিভাগ খোলা যাবে সেই নিয়ে একটি পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে হবে।

গত সপ্তাহে, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদি লকডাউন শেষ হওয়ার পরে জনগণের যাতায়াত বা বাইরে বেরনো নিয়ে একটি পরিকল্পনা চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন রাজ্যগুলিকে তাদের পরামর্শ পাঠাতে অনুরোধ করে বলেন, “লকডাউনশেষ হওয়ার পরে জনগণের অচলাবস্থা কাটিয়ে বাইরে বেরনো এবং সতর্কতা নিশ্চিত করতে কৌশল অবলম্বন করা জরুরি।”

১১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এই দেশে। ভারতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪০০।

.