This Article is From Oct 29, 2019

জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক সাংসদ

তাঁর দাবি, ৭ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় তাঁকে, যদিও তিনদিন পরেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়

জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক সাংসদ

দুাস আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

নয়াদিল্লি:

কাশ্মীরে অবাধে ঘুরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন ইউরোপিয় সংসদের (Liberal Democrat MP) লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক সদস্য ক্রিস ডেভিস (Chris Davies)। তিনি দাবি করেন, সেখানে অবাধে ঘুরতে এবং স্থানীয়দের কথা বলতে দেওয়া হবে তাঁকে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্রিস ডেভিস বলেন, “ভারত সরকার কী লুকোতে চাই”। নর্থ  ওয়েস্ট ইংল্যান্ডের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক সদস্য ক্রিস ডেভিস, এছাড়াও ইউরোপিয় সংসদের (European Parliament) ফিসারিজ বিষয়ক কমিটির প্রধানও তিনি। তাঁর দাবি, ৭ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় তাঁকে, যদিও তিনদিন পরেই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন ইউরোপের সাংসদদের, বললেন “বৃহত্তম গণতন্ত্র”

ক্রিস ডেভিস বলেন, “আমি মোদি সরকারের জনসংযোগের কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলাম না, এবং সব ঠিক আছে, এইরকম ভাব দেখাতেও ইচ্ছুক ছিলাম না। এটা পরিষ্কার যে, কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক নীতি ধ্বংস করা হয়েছে, এবং সারা বিশ্বের এটা দেখা প্রয়োজন”।

তিনি দাবি করেন, কোনওরকম নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াই কাশ্মীরে অবাধে ঘুরতে পারবেন এবং যে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তিনি, পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং সেখানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখার পদক্ষেপের পর থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজেস্ব ধারণা করতে পারবেন। ক্রিস ডেভিস বলেন, “ভারত সরকার কী লুকোতে চাইছে ? কেন স্থানীয়দের সঙ্গে, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না তারা”। 

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জম্মু ও কাশ্মীরের গেলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা

এই লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক নেতা বলেন, ইংল্যান্ডে, যে সমস্ত কাশ্মীরা আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের  লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না, তাঁদের হয়ে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। এই ইউরোপিয় সাংদ বলেন, “উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হাজারো মানুষের প্রতিনিধি, যাঁদের পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগ রয়েছে। আত্মীয়দের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কথা বলতে চান তাঁরা। নিজেদের কথা  শোনাতে চান তাঁরা”।

তিনি বলেন, “আমি ভয় পাচ্ছি, এর পরিণতি ভাল হবে না। সামরিক শাসন  জারি করে এবং স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে  মানুষের হৃদয় ও মন জয় করতে পারেনি সরকার। হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে  সেখানে”। 

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে যান ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।

জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের পদক্ষেপের পর এই প্রথম সেখানে সফর কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলের সফর।

.