This Article is From Dec 27, 2019

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদের বাইরে বিপুল জমায়েত

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে জামা মসজিদের বাইরে জমায়েত হল বিপুল সংখ্যক মানুষ। দিল্লি পুলিশ কড়া নজর রেখেছে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে না পারে।

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদের বাইরে বিপুল জমায়েত

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে জামা মসজিদের বাইরে জমায়েত হল বিপুল সংখ্যক মানুষ।

নয়াদিল্লি:

নতুন নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদ করতে জামা মসজিদের (Jama Masjid) বাইরে জমায়েত হল বিপুল সংখ্যক মানুষ। দিল্লি পুলিশ কড়া নজর রেখেছে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে না পারে। শহরের বহু সংবেদনশীল অঞ্চলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির কিছু অঞ্চলে মিছিলের পরিকল্পনা হয়েছে। শুক্রবারের প্রার্থনার আগে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে কিছু সংস্থার প্রতিবাদ উপলক্ষে কড়া পুলিশ প্রহরা রাখা হয়েছে বহু অঞ্চলে।

কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা ও দিল্লির প্রাক্তন বিধায়ক শোয়েব ইকবালের মতো অনেকেই জামা মসজিদের বাইরে জমায়েতে উপস্থিত রয়েছেন। অলকা লাম্বা বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘বেকারত্ব হল দেশের আসল ইস্যু। কিন্তু আপনারা মানুষকে এনআরসির লাইনে দাঁড় করাতে চাইছেন, ঠিক যেমন নোটবন্দির সময়ে করেছিলেন।''

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ঘিরে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে প্রধানমন্ত্রী মোদি

দিল্লির বহু অঞ্চলে বড় জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন, শীলামপুর ও জাফরাবাদ। উত্তরপ্রদেশ ভবনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। ‘‘উত্তরপ্রদেশের পুলিশরাজের'' বিরুদ্ধে এখানে প্রতিবাদ প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের।

গত শুক্রবার জামা মসজিদের কাছে ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে বিপুল প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরোধিতায় জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত ওই প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশে ধরপাকড়, "উস্কানিমূলক" পোস্ট করে গ্রেফতার ১২৪, নজরে ১৯ হাজার অ্যাকাউন্ট

সন্ধ্যায় সেই প্রতিবাদ মিছিল হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। আটজন পুলিশ কর্মী সহ ৩৬ জন আহত হন। চন্দ্রশেখর আজাদ পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেলেও রবিবার ধরা পড়ে যান তিনি।

নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে। 

.