This Article is From Jul 11, 2019

''এত লোভ কিসের": কর্ণাটক সমস্যা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

তিনি জানিয়েছেন, ''ভারতের সংবিধান বিপদ গ্রস্ত।'' বিজেপি সরকারের এই ধরনের ''অহংকারী মনোভাবের'' তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।  

''এত লোভ কিসের

মমতা ব্যানার্জি বিজেপি-কে দেশের কাজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন (ফাইল চিত্র)

কলকাতা:

দিনে দিনে কর্ণাটকের সমস্যা (Karnataka Crisis) বৃদ্ধি পাচ্ছে।  কংগ্রেস- জেডিএস (Congress-JDS)জোট কর্ণাটকে সরকার (Karnataka government) গঠন করলেও বর্তমানে তাতে দেখা গেছে ফাটল। অবশেষে এই চরম মুহূর্ত নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।  ইতিমধ্যে মুম্বাইতে গিয়েও বিধায়কদের সাথে দেখা করতে ব্যর্থ হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) এই ঘটনার জন্য অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি-র (BJP) ওপর এবং তিনি জানিয়েছেন যে, বিজেপি (BJP) কর্ণাটকে (Karnataka) ঘোড়া কেনা-বেচার আনন্দে মেতে উঠেছে।  

তিনি জানিয়েছেন, ''ভারতের সংবিধান বিপদ গ্রস্ত।'' বিজেপি সরকারের এই ধরনের ''অহংকারী মনোভাবের'' তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।  

রোজভ্যালিকাণ্ডে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব ইডির

এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছেন, ''আমি সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানতে পেরেছে, কংগ্রেস নেতাদের হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনকি সেই হোটেলের কাছাকাছি কোনো সংবাদ সংস্থাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচা করছে।'' 

অভিযোগ করা হচ্ছে, একদিকে যেমন কংগ্রেসের বোধায়কদের হোটেলে বন্দি করা রাখা হয়েছে, কোনো মিডিয়াকে তাদের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তেমনি কিছু এজেন্সি আবার ভারতের বর্তমান সরকারকে সাহায্য করে চেলেছে।   

''এইভাবে ঘোড়া কেনাবেচা চলতে থাকলে ভারতে গণতন্ত্ৰ বলে কিছু থাকবে না।'' তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ''আমাদের সংবিধান বিপদের মুখে, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আজ বিপন্ন। আজ ভারতের গণতন্ত্র বিপর্যস্ত।'' মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''আমরা প্রতিটা আঞ্চলিক দল সহ অন্যদের সাপোর্ট করি.''

এদিন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক পদত্যাগ পত্র জমা করলে, বর্তমান কর্ণাটক সরকারের ওপর চিন্তার মেঘ ঘনিয়ে আসে।  এখনও পর্যন্ত ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক ও ৩ জন জেডিএস বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তবে এইভাবে বিধায়কদের গণ ইস্তফা সবিয়াকর করা হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমার। কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।  যার ফলে এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার কোনো সমাধান দেখা যায়নি।  

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিজেপিকে দেশের কাজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছে, আর তাঁর মতে তারা যে ''ফেলার কাজ চালাচ্ছে'' তা অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বলেছেন।  

''আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না এত লোভ কিসের। সারা ভারতকে নিজেদের মুঠোয় আনার জন্য কিসের এত ব্যস্ততা তাদের?'' এমনকি তিনি এটিকে ''নোংরা রাজনীতি'' বলে অভিহিত করেছেন। ''কর্ণাটকের পরে তারা (বিজেপি) মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানকে গ্রাস করতে চাইবে। সরকার ভেঙে দেওয়াটাই কি তাদের কাজ?'' অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন মমতা।  শেষ পর্যন্ত তিনি সমস্ত বিরোধীদল ও সংবাদ মাধ্যম গুলিকে ঐক্য বদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.