This Article is From Dec 09, 2019

কর্ণাটকের উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, কমেছে হাতের শক্তি: ১০ তথ্য

Karnataka bypoll results: বিজেপি ১৫ টির মধ্যে ১২ টি আসনেই এগিয়ে, কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, "আমাদের ১৫টি আসনের ভোটারদের মতকে মান্যতা দিতে হবে"

Karnataka bypoll results: কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে ভোট গণনা

হাইলাইটস

  • কর্ণাটকে চলছে ১৫টি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগণনা
  • ভোটগণনার প্রাথমিক ফলাফলে অনেকটাই এগিয়ে গেরুয়া দল
  • এক রকম হার স্বীকার করেই নিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস
বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের উপনির্বাচনের (Karnataka Bypolls) ভোটগণনা যতই এগোচ্ছে ততই যেন সে রাজ্যে স্পষ্ট হচ্ছে গেরুয়া রঙ। সোমবার ভোটগণনার সময় (Karnataka bypoll results) দেখা গেছে সে রাজ্যে ক্রমশই বিরোধী শক্তিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। গত সপ্তাহেই কর্ণাটকের ১৫টি আসনে উপনির্বাচন হয়। মাত্র ৪ মাসেই কামাল দেখিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার (BS Yediyurappa) সরকার, আর তাই বোধহয় জনগণ ভরসা রাখতে চাইছে গেরুয়া দলের উপরেই, ভোটগণনার প্রাথমিক ফল সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১৫টির মধ্যে ১২ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকিগুলোয় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিএস । কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেন, "এই ১৫ টি নির্বাচনীকেন্দ্রের ভোটারদের জনাদেশ আমাদের মেনে নিতেই হবে। জনগণ তাঁদের চাইছে। আমরা হার স্বীকার করছি। তবে আমার মনে হয় না যে এতে আমাদের হতাশ হওয়া উচিত।" কংগ্রেস-জনতা দল সেকুলারের (জেডিএস) জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসে বিজেপি। গত জুলাই মাসে কর্ণাটকে যে বিধায়করা পদত্যাগ করেছিলেন তাঁদের ছেড়ে যাওয়া ১৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৫ টিতে গত বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিজেপিকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কমপক্ষে ৭টি আসনে জিততেই হবে, কেননা তা হলেই উপ-নির্বাচনের পরে (Karnataka bypoll result 2019) তাঁদের কাছে ২২২ জন বিধায়কের সমর্থন থাকবে। যদিও দুটি আসন এখনও শূন্য রয়েছে। বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৫ জন বিধায়ক এবং একজন নির্দল প্রার্থীর সমর্থন রয়েছে, ওদিকে কংগ্রেসের কাছে রয়েছে ৬৬ এবং জেডিএসের কাছে আছে ৩৪ জন বিধায়কের সমর্থন।

দেখে নিন এই সংক্রান্ত ১০টি তথ্য:

  1. ১৫ টি আসনের মধ্যে ১২টি আগে কংগ্রেসের হাতে ছিল এবং বাকি ৩টি আসন ছিল জেডিএসের। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে উপনির্বাচনের ভোটগণনা। আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে এমন যে কোনও কাজেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্ণাটক সরকার।
     

  2. এই নির্বাচনে প্রাক্তন জোটসঙ্গী কংগ্রেস এবং জেডিএস আলাদা আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। জোট ভেঙে যাওয়ার পরে ওই দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।
     

  3. তবে মহারাষ্ট্রের উদাহরণকে মনে রেখে যেভাবে সেখানে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি একটি বিকল্প জোট গঠন করে সরকার গড়েছে, সেভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এগোতে পারে কংগ্রেস এবং জেডিএস। আর যদি তাঁরা তা করতে পারে তবে হয়তো আগামীতে কর্ণাটকেও বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হটাতে সক্ষম হতে পারে তাঁরা।
     

  4. ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে প্রয়োজনে তাঁরা আবার জেডিএসের সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি, তবে জেডিএস এখনও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়নি।
     

  5. ভোটগণনায় দেখা যাচ্ছে মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৩ টিতেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পদ্মের দল। ইয়েদুরাপ্পা সাংবাদিকদের বলেন: "আমরা নিশ্চিত যে আমাদের সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হবে। এমনকি আমাদের কাছ থেকে এখানকার মানুষেরও একই প্রত্যাশা রয়েছে"।
     

  6. বিরোধী দল অবশ্য আগে ঘোষণা করে ছিল যে যে বিধায়করা এই বছরের শুরুর দিকে বিশাল বিতর্কিত পরিস্থিতিতে তাঁদের জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন সেই সব বিধায়কদের সমর্থন থাকলেও বিজেপি পরিস্থিতি সামলাতে অপারগ হবে।
     

  7. গত জুলাইতে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়কের সদস্য একসঙ্গে ইস্তফা দিলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। তার ফলে পতন ঘটে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের। ক্ষমতায় আসে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার। ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি উপনির্বাচন হয়। বাকি ২টি আসনে ভোট হয়নি।  
     

  8. তবে সুপ্রিম কোর্ট বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণার বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে বলে যে তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। যদিও কংগ্রেস জোরদার প্রচার করে যে অযোগ্যদের হারাক মানুষ এদিকে বিজেপি ইস্তফা দেওয়া ১৩ জন বিধায়ককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুযোগ দেয়, যাঁদের"ভবিষ্যতের মন্ত্রী" হিসাবেও বর্ণনা করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
     

  9. এই উপনির্বাচনের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করছে রাজ্যে বিজেপি সরকারের ভবিষ্যৎ। কারণ, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে ওই ১৫টি আসনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার দল বিজেপিকে অন্তত ৭টি আসনে জিততেই হবে।
     

  10. এই উপনির্বাচনের আসনগুলির মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় আসন ছিল হসকোট, যেখানে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হিসাবে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এমটিবি নাগরাজ। তিনি এর আগে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন এবং পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হয়, তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একজন বিজেপি সাংসদেরই ছেলে, যাঁকে বিজেপি দল থেকে বহিষ্কার করার পরে নির্দল প্রার্থী হিসাবে এই উপনির্বাচনে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।



Post a comment
.