This Article is From Jun 18, 2019

ছন্দে ফিরছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা; মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা

ছন্দে ফিরল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রোগীরা।

ছন্দে ফিরছে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা; মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
কলকাতা:

ছন্দে ফিরল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা (hospital services)। স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রোগীরা। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মবিরতি ভেঙে আজ থেকে ফের আগের মতোই কাজে যোগ দিলেন ( resume work) সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তারবাবুরা (Junior doctors)। স্বাভাবিক হল বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজ সকাল থেকেই যথারীতি চিকিৎসা শুরু হয়েছে রাজ্যের ১৪টি সরকারি হাসপাতালে। খুলে গেছে বহির্বিভাগ, প্যাথোলজি সহ হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ।

পরিষেবা চালু হতেই সকাল থেকে রোগীদের ভিড় উপচে পড়েছে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে। একই ছবি দেখা গেছে এনআরএস চত্বরেও। এক সপ্তাহ আগে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যে হাসপাতাল। এখানেই চিকিতসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত এক জুনিয়র ডাক্তারকে বেধড়ক মারধর করেছিল মৃত রোগীর পরিবার। রোগীদের ভিড় সামলাতে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন জুনিয়ররাও। জুনিয়ার ডাক্তারদের জয়েন্ট ফোরামের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন একথা। এবং এই ছবি হাসি ফিরিয়েছে রাজ্যবাসীর মুখে। 

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য

ফোরামের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত জুনিয়ার ডাক্তাররা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই অনেক দূর থেকে এসেছিলেন। তাই তাঁদের নিজের নিজের হাসপাতালে পৌঁছোতে হয়তো এক-দুদিন লাগবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে যোগ দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তাঁরাও।

ডাক্তারদের কর্মবিরতি উঠে যাওয়ায় আশ্বস্ত মালদা থেকে আসা আরিফুল হকও। তাঁকে ঘন ঘন নীলরতন সরকার হাসপাতালে আসতে হয় দাদার হৃদরোগের চিকিতসা করাতে। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, আমাদের মতো গরীবদের জন্যই তো সরকার এই হাসপাতালগুলো বানিয়ে দিয়েছে। এখানে চিকিতসা না পেলে আমাদের বিনা চিকিতসায় মরতে হবে।

হাসি ফিরেছে থ্যালাসেমিয়ার রোগী শান্তনু হাজরার মুখেও। গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল এসএসকেএমের দরজা থেকে। শান্তনুর কথায়, আমি খুবই দুঃস্থ। ফলে, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। এদিকে কর্মবিরতির জেরে বারে বারে ফিরে আসায় মৃত্যুভয় তৈরি হয়েছিল মনে। এখন আমি নিরুদ্বেগ। 

এ কদিন অবশ্য বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীর ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। ডাক্তাররাও চলে গেছিলেন ছুটিতে। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ সকাল থেকে সেখানেও রোগীর ভিড়। প্রসঙ্গত, বৈঠকে ডাক্তারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলায় আজ সকাল থেকেই কাজে ফিরেছেন ডাক্তারবাবুরা।

 "কটা উইকেট পড়ল?": শিশু মৃত্যু নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর!

যে হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তার প্রহৃত হওয়ার প্রতিবাদে পথে নামেন ডাক্তাররা সেই এনআরএসের অধ্যক্ষ ডা. শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রচুর রোগী ফিরে গেছেন। তাই আজ সকাল থেকেই জুনিয়র-সিনিয়র সমস্ত ডাক্তারবাবুরা এক হয়ে রোগী দেখছেন বহির্বিভাগের।  একই সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে দেখা গেছে পুলিশি মোতায়েন। জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি মেনে যার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। 

কাল বৈঠকের পর একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে অন্যতম, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে পুলিশি মোতায়েন। রাজ্য থেকে ডাক্তারদের কর্মবিরতি উঠে যেতেই কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে আইএমএ-ও।

.