This Article is From Jun 06, 2020

লকডাউনের জের, চাকরি হারিয়ে গ্রাজুয়েট ছেলেরা কাজ খুঁজছেন মনরেগা প্রকল্পে!

MGNREGA: ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ মানুষ মনরেগা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য আবেদন করেছেন, একসঙ্গে এতো আবেদন এই দশকে কখনও জমা পড়েনি

Jobless in Lockdown: স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করা যুবকরাও মনরেগা প্রকল্পে শ্রমিক হিসাবে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন

হাইলাইটস

  • লকডাউনের কারণে দেশে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ
  • কোনও কাজ না পেয়ে মনরেগা প্রকল্পে দিনমজুরের কাজের চেষ্টায় ডিগ্রিধারীরা
  • ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে
লখনউ:

করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশে যে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়েছে তার জেরে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। যাঁরা একসময় বেশ ভালো অঙ্কের বেতনের বিনিময়ে চাকরি করতেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আজ তাঁরাও কর্মহীন (Jobless)। ফলে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে, পেট চালানোর তাগিদে দেশের অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, উপার্জনের জন্যে যেকোনও ধরণের কাজ করতেও দ্বিধা করছে না যুব সম্প্রদায়। এই যেমন, উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন রোশন কুমার। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ওই যুবক এখন কাজ হারিয়ে মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি বা মনরেগা প্রকল্পের (MGNREGA) আওতায় কাজ খুঁজছেন। চলতি লকডাউনের কারণে ভিনরাজ্যে কাজ করা কমপক্ষে ৩০ লক্ষ পরিবার কর্মহীন হয়ে সেই রাজ্যে ফিরে এসেছেন। মূলত সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) পাশে দাঁড়াতেই ওই প্রকল্পে কাজের কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শুধু পরিযায়ীরাই নন, দিনমজুরের কাজ করার জন্যে এখন আবেদন করছে উচ্চশিক্ষিত বেকাররাও।

২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৯,৮৮৭ জন, একদিনে ২৯৪ জনের প্রাণ কাড়ল কোভিড- ১৯

এমএ ডিগ্রি নিয়েও মনরেগা প্রকল্পে কাজের আবেদন করা রোশন কুমার বলেন, "আমি চাকরি করতাম এবং ভাল টাকাও উপার্জন করতাম, কিন্তু লকডাউনের কারণে আমার সেই চাকরিটি চলে যায়"।

শুধু রোশন কুমারই নন, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বহু বেকার ইতিমধ্যেই দিন মজুর হিসাবে পুকুর খোঁড়া এবং গ্রামের রাস্তা তৈরির মতো পরিশ্রমসাধ্য কাজ করতেও ইচ্ছুক। 

"ভারতে লকডাউন ব্যর্থ!" পাঁচটি গ্রাফ টুইট করে দাবি রাহুল গান্ধির

"আমার কাছে বিবিএ ডিগ্রি আছে অথচ আমি কোনও ভাল চাকরি পাইনি। অনেক চেষ্টার পর, আমি মাসে ৬,০০০-৭,০০০ টাকার একটি চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু লকডাউনের ফলে আমার সেই চাকরিটিও চলে গেছে। ফলে, আমি আমার গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি", বলেন বিবিএ ডিগ্রিধারী যুবক সত্যেন্দ্র কুমার। তিনি জানান যে, শেষ পর্যন্ত গ্রাম প্রধান তাঁকে একটি মনরেগা প্রকল্পে কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। 

সুরজিৎ কুমার, এমএ-বিএড পাশ করেও ওই যুবক মনরেগাতেই চাকরি খুঁজছেন। "আমার এমএ এবং বিএড ডিগ্রি আছে। কিন্তু চাকরির চেষ্টা করার আগেই আমি লকডাউনের ফাঁদে পড়ে গেলাম। ফলে এখন এই কাজই হয়তো করতে হবে", বলেন তিনি।

0e641r5g

যোগী আদিত্যনাথের সরকার (Yogi Adityanath) রাজ্যে ফেরা ৩০ লক্ষ পরিযায়ীর কাজের সংস্থানের জন্যেই চাকরি দেওয়ার জন্য মনরেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন

পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে লকডাউনের আগে এক দিনে গড়ে ২০ জন মনরেগা কর্মী কাজের অপেক্ষায় থাকতেন এখন সেখানে দৈনিক ১০০ জনেরও বেশি মানুষ চাইছেন একটি কাজ, সে যেমনই হোক না কেন। মনরেগায় কাজ করার জন্যে যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশই ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত যুবক।

১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ মানুষ মনরেগা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য আবেদন করেছেন, একসঙ্গে এতো আবেদন এই দশকে কখনও জমা পড়েনি।

 

.