This Article is From Jan 10, 2020

জেএনইউয়ের উপাচার্যকে তলব মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

জেএনইউয়ের উপাচার্য জগদীশ এম কুমারকে দেখা করতে বলল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। শুক্রবার সকাল ১১.৩০টায় তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে।

জেএনইউয়ের উপাচার্যকে তলব মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একটি অংশ উপাচার্যের অপসারণ নিয়ে সরব।

নয়াদিল্লি:

জেএনইউয়ের উপাচার্য জগদীশ এম কুমারকে দেখা করতে বলল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১.৩০টায় তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে মন্ত্রকের শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একটি অংশ তাঁর অপসারণ নিয়ে সরব। সেই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে মন্ত্রক। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপরে হওয়া হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দাবি করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, গতকাল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, সরকার ফি বৃদ্ধির দাবির দিকে নজর দিতে চায়। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা হবে উপাচার্যের সঙ্গে। মন্ত্রকের সচিব অমিত খারে পিটিআইকে জানান, ‘‘উপাচার্যকে অপসারণ করা কোনও সমাধান নয়। যে প্রধান ইস্যুকে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত, সেটাকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। সেটাকে সমাধান করতে হবে।''

এর আগে জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠন জেএনইউসিইউ ও শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তখনই অমিত খারের কাছে উপাচার্যের অপসারণের আবেদন করা হয়।

অমিত খারে জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব গত মাসে যে ফি বৃদ্ধি হয়েছে তার প্রয়োগ বিষয়ে। আমরা সমস্যার সমাধান করে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে চাইছি। এটি একটি সম্মাননীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেটা বজায় রাখতে হবে।''

গত রবিবার সন্ধ্যায় ৭০ থেকে ১০০ জন মুখোশধারী দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপরে চড়াও হয়। তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি অস্ত্র ছিল। হামলায় ৩৪ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক আহত হন। তাঁদের অন্যতম জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষ।

ওই ঘটনার নিন্দায় সরব দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা। পাশাপাশি বিরোধী নেতারাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই ঘটনার। 

.