This Article is From Jan 06, 2020

ভাইরাল স্ক্রিনশট ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের : পুলিশ

জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা দিল্লি পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে সরব। ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল, কিন্তু কিছুই করেনি।’’

ভাইরাল স্ক্রিনশট ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের : পুলিশ

প্রায় ৫০ জন দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ে রবিবার সন্ধ্যায়।

নয়াদিল্লি:

রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ (JNU) চত্বর দুষ্কৃতী হামলার (JNU Attack) পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট ও সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই সিসিটিভি ফুটেজ ও স্ক্রিনশট থেকে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৩০-এর বেশি মানুষ আহত হওয়ার পর বহু অভিযোগ জমা পড়লেও মাত্র একটিই এফআইআর করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, মামলাটি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

সোমবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘আমরা উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। এবং তদন্ত শুরু করেছি। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কয়েকজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।''

জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা দিল্লি পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে সরব। তারা গত মাসে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি নির্যাতনের প্রসঙ্গও তোলে। জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠনের সহ সভাপতি সাকেত মুন অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘পুলিশ সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছিল, কিন্তু কিছুই করেনি।''

তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা সময়মতোই ওখানে পৌঁছয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ৫০ জন অপরিচিত দুষ্কৃতী ৬.৩০ নাগাদ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। ছাত্র ইউনিয়ন টুইটে দাবি করে দুষ্কৃতীরা ‘‘অপরিচিত এবিভিপি দুষ্কৃতী'' এবং তারা কেবল পড়ুয়াদের নয়, পড়ুয়াদের বাঁচাতে আসা অধ্যাপকদেরও মারধর করতে থাকে।

অভিযোগ উঠেছে অ্যাম্বুল্যান্স প্রবেশ ও চিকিৎসা পরিষেবার কোনও অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চালাতে দেওয়া হয়নি। একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ৬.৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের কাছে একটি বাস স্টপে দুষ্কৃতীরা ঘোরাফেরা করছে। 

.