This Article is From May 27, 2019

কুসংস্কার! জোর করে মাথা মুড়িয়ে নখ কেটে দেওয়া হল ষোলো জন নারী-পুরুষের

জোর করে ন’জন পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা ও সাত জন মহিলার নখ কেটে নেওয়ার অভিযোগে ঝাড়খণ্ড পুলিশ সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার ছ’জনকে আটক করেছে।

কুসংস্কার! জোর করে মাথা মুড়িয়ে নখ কেটে দেওয়া হল ষোলো জন নারী-পুরুষের

হাইলাইটস

  • জোর করে ন’জন পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা ও সাত জন মহিলার নখ কাটা হল ঝাড়খণ্ডে
  • জোর করে ন’জন পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা ও সাত জন মহিলার নখ কাটা হল ঝাড়খণ্ডে
  • জোর করে ন’জন পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা ও সাত জন মহিলার নখ কাটা হল ঝাড়খণ্ডে
নয়াদিল্লি:

জোর করে ন'জন পুরুষের মাথা ন্যাড়া করা ও সাত জন মহিলার নখ কেটে নেওয়ার অভিযোগে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) পুলিশ সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার ছ'জনকে আটক করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক গ্রামবাসীর মৃত্যুর পরে ওই আক্রান্ত নারী-পুরুষেরা প্রচলিত প্রথা পালন‌ করতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের উপরে আচরণ করা হয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে একজনের দাবি, তাঁদের সঙ্গে ওই আচরণের কারণ, মনে করা হচ্ছিল তাঁরা কোনও কালো জাদু বা অতিপ্রাকৃতের চর্চা করতেন। ২৩ মে ছোটা কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার খোঁজ পেতেই রবিবার অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশ। 

আত্মঘাতী মুম্বইয়ের তরুণী চিকিৎসক, নেপথ্যে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য

পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট চন্দনকুমার সিনহা জানিয়েছেন, গ্রামের এক বাসিন্দা মারা গেলে হিন্দু প্রথা অনুযায়ী গ্রামের বাকিরা তাঁদের চুল কেটে ফেলেন। কিন্তু ১২টি পরিবারের ১৬ জন মহিলা ও পুরুষ তেমনটা করতে রাজি হননি। জানা যাচ্ছে, আক্রান্তরা হিন্দু প্রথা মানতেন না বা মন্দিরেও যেতেন না। তাঁরা ‘গুরু মা'-এর উপাসনা করতেন। তাঁদের প্রত্যাখ্যানকে ‘অপবিত্র' মনে করে তাঁদের নিয়ে একটি বৈঠকে গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা যদি স্নান করে মাথার চুল কেটে ফেলেন তবে তাঁদের ‘শুদ্ধিকরণ' ঘটবে।

কিন্তু তাঁদের এই নির্দেশও মানেননি আক্রান্তরা। এরপরই গ্রাম প্রধানের উপস্থিতিতে জোর করে পুরুষদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। নখ কেটে দেওয়া হয় মহিলাদের। 

ভোটে দলের ভরাডুবি, মধ্যাহ্নভোজ ত্যাগ করেছিলেন লালু!

আক্রান্তদের অন্যতম, সরকারি বিদ্যালয়ে রাঁধুনির কাজ করা মাহাতো বলেন, ওঁরা এমনটা করেছেন, কারণ ওঁরা মনে করেন তাঁরা অতিপ্রাকৃত চর্চা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আটক অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন গ্রামপ্রধানও। ‘অন্ধ বিশ্বাস উন্মুলান কেন্দ্র'তে আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন আক্রান্তরা। ‘ফ্রি লিগ্যাল এইড কমিটি' নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই কেন্দ্রটি চালায়। সংস্থার সভাপতি প্রেমজি দাবি করেন, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক এবং কনা শাস্তি দিয়ে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকানোর প্রচেষ্টা করা হোক। কুসংস্কারাচ্ছন্নতা থেকেই সমাজের দরিদ্র মানুষেরা এমন আচরণ করে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলিরও এই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এগিয়ে আসা উচিত তিনি মনে করেন বলে জানান প্রেমজি। 

.