This Article is From Dec 23, 2019

দ্বিতীয় মেয়াদেও সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস!

Jharkhand Election: প্রধানমন্ত্রী মোদি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের ভিত্তিতে ফের ক্ষমতায় বসার পর দেশের তৃতীয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে

দ্বিতীয় মেয়াদেও সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস!

সেই ১৯৯৫ সাল থেকে জামশেদপুর পূর্বের আসনটি জিতে আসছেন Raghubar Das (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ঝাড়খণ্ডে সোমবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা
  • ফের সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানকার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস
  • এবার ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে বিজেপিকে টক্কর দেবে কংগ্রেস-জেএমএম জোট

২০০০ সালে বিহার থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর থেকে দেখা গেছে বেশিরভাগ সময়েই (Jharkhand Election) ক্ষমতার শাসনদণ্ড ছিল  বিজেপির হাতে। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Election Resuts) গেরুয়া সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকে (Raghubar Das) কড়া টক্করের মুখে ফেলেছে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোট। কেননা ভোটগণনা শুরুর আগেই বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় দেখা যায় যে জনমত কংগ্রেস-জেএমএম জোটের অনুকূলে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের ভিত্তিতে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের ক্ষমতায় বসার পর ঝাড়খণ্ডই হল দেশের তৃতীয় রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে বোঝাপড়ার গড়মিলে ক্ষমতা হারানোর পর ঝাড়খণ্ডেও যদি গেরুয়া দলের ভিত নড়ে যায়, তাহলে দেশ জুড়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

ঝাড়খণ্ডে ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় জেএমএম-কংগ্রেস জোটের অনুকূলে হাওয়া!

ঝাড়খণ্ডে এবার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে অল ঝাড়খণ্ড ছাত্র ইউনিয়নও, অথচ গতবার ওদের সঙ্গেই জোট বেঁধে লড়েছিল গেরুয়া দল।

মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পক্ষে এই নির্বাচনের ফলাফল সাংঘাতিক চ্যালেঞ্জিং হওয়ার সম্ভাবনা, কেননা তাঁর বিরুদ্ধে এবার লড়ছে নিজের দলেরই বিদ্রোহী সারিউ রাই। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, এই রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিনই পরপর দু'বার নির্বাচনে জিততে পারেননি। যদিও সেই ১৯৯৫ সাল থেকে জামশেদপুর পূর্বের আসনটি লাগাতার জিতে আসছেন রঘুবর দাস।

Election Results: জেএমএম-কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পেরোল— ১০ তথ্য

তবে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী হাওয়া খুব একটা রঘুবর দাসের সরকারের অনুকূলে বইছে না। কমপক্ষে তিনটি বুথ ফেরৎ সমীক্ষা বলছে যে ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপি শক্ত লড়াইয়ের মুখোমুখি হবে। এই রাজ্যে যে কোনও দলের জয়ের জন্য ৪২ টি আসন দরকার।

এমনকি এমন পরিস্থিতিও হতে পারে যে ঝাড়খণ্ডে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো না। সেক্ষেত্রে বাবুলাল মারাণ্ডির নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) এবং অল ঝাড়খণ্ড ছাত্র ইউনিয়ন (এজেএসইউ) নির্ণায়ক শক্তি হিসাবে দেখা দিতে পারে। 

অল ঝাড়খণ্ড ছাত্র ইউনিয়ন বা এজেএসইউ ৮১ টি আসনের মধ্যে ৫২ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

২০১৪ সালে, বিজেপি ৩৭ টি আসন জিতেছিল এবং তার সহযোগী, অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ৫ টি আসন পেয়ে এনডিএকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে এগিয়ে দেয়। বিজেপির প্রভাবশালী পারফরম্যান্স বিরোধী দল কংগ্রেসকে মাত্র ৬টি আসনে নামিয়ে আনে। তবে এবার ঝাড়খণ্ডে একা লড়ারই সিদ্ধান্ত নেয় অল ঝাড়খণ্ড ছাত্র ইউনিয়ন।

.