This Article is From Dec 23, 2019

চূড়ান্ত ফল দেখে তবেই শরিক নির্বাচন; দাবি করলেন অর্জুন মুণ্ডা

২০১৪ সালের গত নির্বাচনে বিজেপি ৩৭টি আসনে জিতেছিল। সেখানে সেবার শরিক হিসেবে আজসু ৫টি আসন পেয়েছিল। সে রাজ্যের বিধানসভার চলতি মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০২০-তে শেষ।

আজসু এবং জেভিএমের সঙ্গে জোটে যেতে পারে বিজেপি, ইঙ্গিত দেন সে রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী

নয়াদিল্লি:

ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ভোট গণনার সম্পূর্ণ ফল দেখে সরকার গড়তে জোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দল। সোমবার একথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা (Union Minister Arjun Munda)। প্রয়োজনে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (All Jharkhand Students Union) বা আজসু (AJSU) এবং জেভিএমের (Jharkhand Vikas Morcha) সঙ্গে জোটে যেতে পারে বিজেপি, ইঙ্গিত দেন সে রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "এবার আমরা একাই বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছি। আজসু আমাদের সঙ্গে ছিল না। কিন্তু দলের নীতি শরিকদের নিয়ে চলা। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আমাদের শরিকদের সঙ্গে নিয়ে চলব। এসবের জন্য একটা নিয়ম আছে।"

এদিকে দুপুর পর্যন্ত বিধানসভা ভোটের ফলের ট্রেন্ড জানাচ্ছিল, ৪০টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট (JMM-Congress-RJD alliance)। ৩০টি আসনে এগিয়ে শাসক দল বিজেপি আর ৪টি করে আসন পেয়েছে আজসু এবং জেভিএম। এই ট্রেন্ডের পরেও হাল হারতে নারাজ অর্জুন মুন্ডা। তিনি বলেছেন, জন্মের পর থেকে ঝাড়খণ্ডবাসী বিজেপির সঙ্গে ছিল আর থাকবে। সেই রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে কাজ করেছে।

২০১৪ সালের গত নির্বাচনে বিজেপি ৩৭টি আসনে জিতেছিল। সেখানে সেবার শরিক হিসেবে আজসু ৫টি আসন পেয়েছিল। সে রাজ্যের বিধানসভার চলতি মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০২০-তে শেষ।  তার আগে গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর ৫ দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এই রাজ্যে। এই নিয়ে মোট চারবার বিধানসভা নির্বাচন দেখল ঝাড়খণ্ডবাসী। এই রাজ্যে ভালো ফল করতে কসুর করেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক জনসভা করেছেন ঝাড়খণ্ডে। মাওবাদী অধ্যুষিত কিছু জেলা থাকায় ৫ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। এখন দেখার চূড়ান্ত ফলে ট্রেন্ড মেনে কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে না শেষ ধাপে এগিয়ে যায় বিজেপি।

.