This Article is From May 25, 2020

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্দেহজনক পায়রা, “পাক চর” সন্দেহে সতর্কতা জারি

পাকিস্তান সীমান্তে কাঠুয়া এলাকায় পায়রাটি ধরা পড়ে, এবং তার পায়ে একটি নম্বর দেওয়া গোল দাগ রয়েছে, তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্দেহজনক পায়রা, “পাক চর” সন্দেহে সতর্কতা জারি

হিরানগর থানায় একটি খাঁচায় রাখা হয়েছে পায়রাটিকে

নয়াদিল্লি/শ্রীনগর:

জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এলাকায় গুপ্তচরদের ধরা পড়া কোনও নতুন ঘটনা নয়, তবে সোমবার কাঠুয়ার (Kathua district) হিরানগর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে একটি পায়রা, পরে তাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পায়রাটির পায়ে একটি গোলাপি রং এর কাপড়ের টুকরো ও ট্যাগ রয়েছে, তাকে “সন্দেহভাজন পাক চর” বলে থানায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, তাকে সীমান্তপার থেকে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজন পায়রাটিকে উঁচুতে খাঁচা করে নিরাপদে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া চাড়ওয়াল জেলার গীতাদেবীর বাড়িতে উড়ে আসে।

তিনিই পায়রাটিকে ধরেন। পরে পায়রাটির পায়ে একটি গোলাকার রিং দেখতে পান তিনি। NDTV  কে এক পদস্থ পুলিশকর্তা বলেন, “রিং এর ওপরে একটি ফোন নম্বর রয়েছে। সেই জন্য পায়রাটিকে চাড়ওয়ালের সরপঞ্চ মানিয়ারির হাতে তুলে দেওয়া হয়”।

পরে গ্রামপ্রধান পায়রাটিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেন, পরে তাঁকে স্থানীয় হিরানগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান ওই পুলিশ আধিকারিক।

ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত পায়রাটির মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাওয়া যায়নি, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জম্মুর বিশেষ শাখা।

কাঠুয়ার পদস্থ পুলিশ আধিকারিক শৈলেন্দ্র মিশ্র NDTV কে বলেন, “আমরা বলতে পারব না যে এটা গুপ্তচরের কাজে লাগানো হয়েছিল। স্থানীয়রা এর পায়ে একটি টুকরো দেখতে পেয়েছেন এবং পায়রাটিকে ধরেন। কয়েকজন সেটিকে কোড বার্তা বলেছেন। পাকিস্তানের পঞ্জাবে, মালিকানার জন্য পায়রার পায়ে কাপড়ের টুকরো বেঁধে রাখেন”।

তবে অতীতে কিছু পায়রায় পাকিস্তানের বার্তা পাওয়া গিয়েছে।

এক আধিকারিক বলেন, “এটা স্পর্শকাতর এলাকা, কারণ এটি আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী। এই পথে অনুপ্রবেশও খুবই নিয়মিত ব্যাপার”।

তাঁর কথায়, বার্তা পাঠাতে সীমান্তপার থেকে পাখি ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “পাখিরা সাধারণভাবে সন্দেহজনক হয় না। তারা তাদের কাজ করে কোনও আওয়াজ না করে, এটা একটা সতর্কতা”।

.