This Article is From Oct 21, 2019

জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে "কেউ আড়াল থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে": সেনাপ্রধান

Jammu and Kashmir: জেনারেল রাওয়াত বলেন, কেন্দ্র ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে

জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে

রবিবার সেনাবাহিনী পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে তিনটি সন্ত্রাসবাদি শিবির ধ্বংস করে (ফাইল চিত্র)

নয়াদিল্লি:

জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, আর সেই অশান্তি ছড়াতে সন্ত্রাসবাদীদের "নেপথ্য থেকে কেউ" মদত দেওয়ার চেষ্টা করছে, বললেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত । জেনারেল রাওয়াত (Bipin Rawat) বলেন, কেন্দ্র ওই রাজ্যের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের হাতে তথ্য এসেছে। "ধীরে ধীরে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, তবে স্পষ্টতই কেউ পর্দার আড়াল থেকে কাজ করছে, যাঁরা সন্ত্রাসবাদী ও তাঁদের গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে অশান্তি ছড়ানোর জন্যে। এই মদত কখনো আসছে পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে আবার কখনো আসছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের বাইরে থেকে। তাঁরা লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্ত পরিবেশকে ব্যাহত করার জন্য",  জেনারেল রাওয়াতের বক্তব্য তুলে ধরেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

তিনি আরও বলেন, "বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পরে (জম্মু ও কাশ্মীর), আমরা বারবার এই ধরণের তথ্য পাচ্ছি যে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা এই দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে"।

সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ করানোর জন্যেই রবিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত তিনটি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করে দেয়। সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য এবং সম সংখ্যক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে, বলেন জেনারেল বিপীন রাওয়াত।

কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনার গুলি, নিহত তিন

"আমরা যে রিপোর্ট পাচ্ছি তার ভিত্তিতে জানাই যে, ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে, তিনটি সন্ত্রাসবাদী শিবিরও ধ্বংস হয়েছে। একই সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীও নিহত হয়েছে বলে খবর," সেনাপ্রধান বিপীন রাওয়াতকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই ।

গত ৫ অগাস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আগাম সতর্কতা হিসাবে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় উপত্যকার টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কাশ্মীরে কোনও প্রতিবাদ নয়: পুলিশ প্রধান

কেন্দ্র জানিয়েছে যে, ধীরে ধীরে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে, সেখান থেকে পোস্ট-পেইড মোবাইল পরিষেবাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সেগুলিকে চালু করা হয়।

এ মাসের শুরুতে শ্রীনগরে একটি বাজার এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেনেড হামলার ফলে কমপক্ষে সাত জন আহত হন। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীরা একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করায় ১৪ জন আহত হওয়ার পর দিনই ফের এই হামলা হয়।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের নাগরিক সহ দু'জন সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে রাজস্থান থেকে আসা একটি ট্রাক চালককে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

.