This Article is From Jan 25, 2020

Jammu and Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরছে টু-জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও

Internet Blackout: অগাস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়

Kashmir: উপত্যকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে

হাইলাইটস

  • জম্মু ও কাশ্মীরে এবার টু-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হচ্ছে
  • তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে এখনও
  • ব্যবহার করা যাবে না কোনও সোশ্যাল মিডিয়া
নয়া দিল্লি:

শনিবার থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল (Mobile) ইন্টারনেট সংযোগ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। তবে ওই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে (Jammu and Kashmir) ইন্টারনেট চালু হলেও কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। যেমন, শুধুমাত্র "শ্বেত তালিকাভুক্ত" ওয়েবসাইটগুলিরই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থাকবে। পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও আপাতত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্যে বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও গুজব বা উস্কানিমূলক বার্তা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উপত্যকা অঞ্চলে (Kashmir) ছড়িয়ে না পড়ে তাই জন্যেই ওই সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। অগাস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা (Internet Blackout) জারি করা হয়। তারপর প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেছে, এখন ধীরে ধীরে যেন ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর।

তবে কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও আপাতত টুজি পরিষেবাই পাওয়া যাবে। পোস্টপেড মোবাইলের পাশাপাশি প্রিপেড সিম কার্ডেও ডেটা পরিষেবাগুলি পাওয়া যাবে। এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত আগামী ৩১ জানুয়ারি ফের পর্যালোচনা করা হবে।

Jammu and Kashmir: পোস্ট পেডের পর প্রি-পেড মোবাইলেও এসএমএস এবং ভয়েস কল পরিষেবা চালু হচ্ছে

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের স্বরাষ্ট্র দফতর এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করে: "কিছু বিধিনিষেধের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ডেটা পরিষেবা এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশনা ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি এই বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা হবে"।

এর আগে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ অচলাবস্থা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে জম্মু ও কাশ্মীরে জারি করা বিধিনিষেধের বিস্তারিত জানাতে হবে। বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলে যে "কোনও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতবিরোধ রুখতে ইন্টারনেট স্থগিত করা যায় না"। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সেখানকার জনজীবন।

Jammu and Kashmir: উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে বিজেপির দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নরেন্দ্র মোদি-সরকার ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার ঘোষণা করে। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫ এ ধারা, দুটোই  "সাংবিধানিকভাবে দুর্বল" এবং বৈষম্যমূলক ছিল এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের বিকাশকে বাধা দিয়েছে। ওই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের সময় থেকেই প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় গোটা উপত্যকাকে।

নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় জারি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মুখ খোলে মার্কিন প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনারও মুখোমুখি হয় ভারত। দেশের মধ্যেও তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় মোদি সরকারকে।

.