This Article is From Jan 15, 2019

মেয়েদের নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট অধ্যাপকের, পরে মুছলেন নিজের পোস্ট

সোশ্যাল মিডিয়া এবং শিক্ষিত সমাজে অধ্যাপকের ওই পোস্টে তীব্র নিন্দার পরেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মেয়েদের নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট অধ্যাপকের, পরে মুছলেন নিজের পোস্ট

অধ্যাপক কনক সরকারের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়

কলকাতা:

মেয়েদের সিল করা বোতলের সঙ্গে তুলনা করে ফেসবুকে পোস্ট যাদবপুরের অধ্যাপক কনক সরকারের। পোস্টে তিনি লেখেন, “ভার্জিন কে বিয়ে…কেন নয়”। যদিও বিতর্কের মুখে পোস্টটি মুছে ফেলেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় বাক স্বাধীনতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে নিজের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তিনি।

পরে ফেসবুকে নিজের সপক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন ওই অধ্যাপক।পোস্টটিকে নিজের ব্যক্তিগত বলে জানিয়ে বাক স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “কোনও প্রমাণ, কোনও উদাহরণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে আমি কারও বিরুদ্ধে কিছু লিখিনি...সামাজের ওপর গবেষণা করে সমাজের ভালোর জন্য আমি এটা করেছি”।

 

v20i762o

ফেসবুক পোস্টটি মুছে দেন কনক সরকার

শিক্ষিত সমাজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দার পর অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, "আইন অনুযায়ী আমরা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব”।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কনক সরকারের স্পেশালাইজেশন রয়েছে রাজনৈতিক সমাজবিদ্যা, রাজনৈতিক চিন্তা, সংবিধান ও সরকার, মানবধিকার এবং আইন, উন্নয়ন প্রশাসন, নৈতিকতা ও সন্ত্রাসবাদ।

সুপ্রিম রায়ে এখনই রথযাত্রা নয় বঙ্গ বিজেপির

কনক সরকারের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে দেখা করবে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের পুলিশ প্রধানকে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন

কারা মারল নিরীহ কুকুরছানাগুলিকে, সন্দেহের তালিকায় কারা

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস মঙ্গলবার বলেন, “কনক সরকারের মন্তব্য খুবই নিন্দাজনক। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, কী করে একজন শিক্ষক কী করে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন। আজ থেকে ৭ দিনের মধ্যে অধ্যাপক সরকারের থেকে জবাব করার জন্য আমায় চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন।আমায় লিখিতভাবে জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছে। অধ্যাপক সরকারের বিভাগের তরফেও কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি অধ্যাপক সরকারের কোনও দুর্ব্যবহারের রিপোর্ট দিলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব”।

 

 

 

 

 

 

 

.