This Article is From Oct 22, 2018

"ট্রেনচালক আমাদের চাপা দিতেই চেয়েছিল..." অমৃতসরের ঘটনা নিয়ে ফুঁসছে পাঞ্জাব

তিনদিন হয়ে গেল পাঞ্জাবের ওই মর্মান্তিক দশেরা-সন্ধ্যার। গোটা অমৃতসর এখন ফুঁসছে।  এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে 61 জন। স্থানীয় মানুষরা ওই ট্রেন চালকের দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে।.

গোটা রাজ্যজুড়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

অমৃতসর:

তিনদিন হয়ে গেল পাঞ্জাবের ওই মর্মান্তিক দশেরা-সন্ধ্যার। গোটা অমৃতসর এখন ফুঁসছে।  এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে 61 জন। স্থানীয় মানুষরা ওই ট্রেন চালকের দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে। ওই অভিশপ্ত ট্রেনটির চালক জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করার সময় ট্রেনটিকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছুঁড়তে আরম্ভ করে উপস্থিত জনতা। তিনি যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ট্রেনটি না থামানোর সিদ্ধান্ত নেন।  19 অক্টোবর সন্ধ্যার ওই ঘটনাটি স্মরণ করতে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শৈলেন্দ্র সিং শাল্লি দাবি করেন, থামা তো দূরের কথা, ট্রেনটি ওই দিন নিজের গতি বিন্দুমাত্র কমানোর চেষ্টাও করেনি।

"ওইদিন মনে হচ্ছিল, ট্রেনের চালক যেন আমাদের চাপা দিতেই চেয়েছিলেন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেনটি এই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ওই সময় আমাদের চারপাশের মানুষগুলো কেউ মারা গিয়েছে কেউ গুরুতর আহত হয়েছে। ওইটুকু সময়ের মধ্যে, ওই ভয়াবহ ঘটনার রেশ পুরোপুরি মস্তিষ্কে গেঁথে যেতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি বেরিয়ে চলে যায় এলাকা ছেড়ে।  তার মধ্যে আমাদের পক্ষে ট্রেনের দিকে পাথর তুলে ছুঁড়ে মারা কতটা সম্ভব? ট্রেনের চালক পরিষ্কার মিথ্যে কথা বলছেন", বলেন তিনি।

গোটা রাজ্যজুড়েই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। রেললাইন অবরোধ করা থেকে শুরু করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ পর্যন্ত চলেছে সবকিছুই। বিরোধীরা দোষ চাপিয়েছে শাসক কংগ্রেসের ওপর। বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনার জন্য আসলে দায়ী কংগ্রেসি নেতা তথা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের গাফিলতিই। 

ট্রেনের চালক নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, সামনে শয়ে শয়ে জনতা দেখে 'ইমারজেন্সি ব্রেক' মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু, ট্রেনটাকে থামানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন যে, লাইন থেকে মানুষরা যাতে সরে দাঁড়ান, তার জন্য অবিরাম হর্ন দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

"ট্রেনটাকে থামাতে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা পাথর ছুঁড়তে আরম্ভ করে। আমার মাথায় তখন কেবলই ঘুরছিল ট্রেনটির মধ্যে উপস্থিত যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা। আমি তাই ট্রেনটি না থামিয়ে অমৃতসরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এবং, সেখানে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই জানাই এই দুর্ঘটনার কথা", একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন ট্রেনটির চালক।

পরমজিৎ সিং নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "কয়েকশো ভিডিওর মাধ্যমে গোটা পৃথিবী দেখেছে , ঠিক কী গতিতে ট্রেনটি ওই এলাকা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমরা তো প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ই পাইনি। পাথর ছোঁড়া তো দূরের কথা! তার আগেই দেখলাম, কত মানুষ মৃত অবস্থায় রয়েছে! আরও কতজন গুরুতর আহত অবস্থায় কাতড়াচ্ছে"। .

 

.