This Article is From Jun 27, 2020

কংগ্রেসকে না দুষে চিনকে যোগ্য জবাব দিকে কেন্দ্র: অধীর চৌধুরী

সীমান্ত রক্ষার কৌশলগত ভুলকে চাপতে বিরোধী দলকে আক্রমণ করছে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। এদিন এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি

কংগ্রেসকে না দুষে চিনকে যোগ্য জবাব দিকে কেন্দ্র: অধীর চৌধুরী
কলকাতা:

কংগ্রেসকে আক্রমণ না করে চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। শুক্রবার এমন ভাষায় বিজেপিকে বিঁধলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (MP Adhir Chowdhury)। সীমান্ত রক্ষার (Border secuirity) কৌশলগত ভুলকে চাপতে বিরোধী দলকে আক্রমণ করছে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। এদিন এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি। লোকসভায় কংগ্রেসের এই সংসদীয় দলনেতা বলেন, "সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে মোদি সরকার (Modi Government)। আর তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে চিন। কংগ্রেস কোনওদিন জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস করেনি। বিজেপির কেউ সেই প্রমাণ দেখাতে পারলে আমি ইস্তফা দেব।"

তাঁর দাবি, "হিমালয় উপত্যকায় নিজেদের ভুল ঢাকতে কংগ্রেসকে দোষারোপ করছে বিজেপি। নয়তো ওরা ইতিহাস ভুলে গিয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির প্রসঙ্গে টেনে বহরমপুরের এই সাংসদ বলেন, "ওরা হয়তো ভুলে গিয়েছেন ১৯৮৪ সালে অপারেশন মেঘদূত করে চিন থেকে সিয়াচেন ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ তৈরি করেছিল ভারত।"

এদিকে, কংগ্রেসের আত্মসমর্পণ অস্ত্রের পাল্টা বিজেপির রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন । বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, "ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস থেকে অর্থ অনুদান পেয়েছে কংগ্রেস পরিচিলিত রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন। প্রথম ইউপিএ আমলে অর্থাৎ ২০০৫-০৬ সালে এই লেনদেন হয়েছে।" জানা গিয়েছে, এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধি। অন্য সদস্যরা হলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধি আর পি চিদম্বরম। সম্প্রতি সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। সরকার, চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এমন অভিযোগও তোলা হয়েছে। সেই অভিযোগের পাল্টা এদিন বিজেপির তরফে দেওয়া হল। এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুক্তি তুলে বিজেপির দাবি, "সাধারণ দাতা হিসেবে চিনা দূতাবাস ২০০৫-০৬ সালে এই অনুদান দিয়েছে।"

আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের প্রশ্ন, "ইউপিএ সরকার কি চিন থেকে ঘুষ নিয়েছিল? এই অনুদান নেওয়ার পরেই অবাধ বাণিজ্য করতে চিনা সংস্থাকে ভারতীয় বাজার ছেড়েছিল ইউপিএ সরকার। এটা কি সত্যি?"

এমনকী, সরকারি কোনও নথিতে এই অনুদানের প্রসঙ্গ নেই। এমনটাও অভিযোগ তুলেছেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কংগ্রেসের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, "কোন খাতে সেই অনুদান ব্যবহার করা হয়েছিল? জবাবদিহি করুক কংগ্রেস।"

.